।।বিকে রিপোর্ট।।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ৫ আগস্ট কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশের গুলিতে আহত গুলিবিদ্ধ আব্দুস সামাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। দীর্ঘ সাত মাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে গত ৪ মার্চ বিকেলে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মারা যান তিনি।
বুধবার ৫ মার্চ সকালে দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মরদেহ।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন থানা ঘেরাওকালে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সামাদ। এ সময় তিনি মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। পরে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
নিহত সামাদ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী উত্তরপাড়া গ্রামের আছমত আলীর ছেলে। তিনি ধামতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।
তার জানাজায় অংশ নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (জেএনপি)’র মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। হাসনাত আব্দুল্লাহ নিহত সামাদের মরদেহ কাঁধে করে কবর পর্যন্ত নিয়ে যান।
জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য গুলির সামনে তারা বুক পেতে দিয়েছিলেন, তাদের সন্তানের একটা ভালো ভবিষ্যতের জন্য। এটাকে গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে। এটা একজন দুইজনের কাজ নয়। যে যেই ব্যানারেরই হোক না কেন, যে মতাদর্শের লোকই হোক না কেন, দিনশেষে আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। এই যে সামাদ ভাই দেবিদ্বারকে ধারণ করে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাদ ভাইদের স্বপ্ন, একটা ফ্যাসিবাদমুক্ত একটা সুন্দর দেবিদ্বার গড়তে হবে।
তিনি বলেন, নিহত সামাদ ভাইয়ের পরিবারের দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তার পরিবারের যেসব সুযোগ-সুবিধা দরকার তা নিশ্চিত করবো।
শহীদ পরিবারের জন্য যে ফান্ড গঠন করা হয়েছে জুলাই ফাউন্ডেশন। সেটি থেকে তাদের যে প্রাপ্য রয়েছে সেগুলো নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব করা হবে।
সামাদের পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, আপনারা সামাদ ভাইকে হারিয়েছেন, এটির কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব না। সারা পৃথিবীর বিনিময়েও একটা জীবনের ক্ষতিপূরণ হয় না। কিন্তু আপনারা আমাদেরকে সব সময় কাছে পাবেন। আপনাদের সব প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে থাকব।
এ সময় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এএফএম তারেক মুন্সী, উত্তর জেলা জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাসনাত খান, ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: ঢাকা পোষ্ট থেকে সংকলিত।