।।বিকে আন্তর্ঝাতিক ডেস্ক।।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে তার সরকার ‘হতাশ’ হয়েছে- বলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি।
শুক্রবার ১ আগস্ট তিনি এ কথা বলেছেন।
ট্রাম্প আগেই সতর্ক করেছিলেন যে কানাডা যদি আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়, তাহলে এর জন্য বাণিজ্যিক পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প এই শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করেন। তবে ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি (ইউএসএমসিএ)-র আওতায় থাকা অনেক পণ্য এই নতুন হারে শুল্কের বাইরে থাকবে।
ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, তিনি বিশ্ব বাণিজ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বহু দেশের ওপর নতুন করে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়াশিংটনের অভিযোগ, কানাডা ফেন্টানিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের প্রবাহ ঠেকাতে “সহযোগিতা করতে ব্যর্থ” হয়েছে। যদিও কানাডীয় সরকার জানিয়েছে, তারা মাদকচক্র দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি (ইউএসএমসিএ) থাকায় কানাডা থেকে বেশিরভাগ পণ্যের আমদানিতে নতুন এই শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।
‘কানাডার সরকার এই পদক্ষেপে হতাশ,’ এক বিবৃতিতে বলেন কারনি।
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়, কানাডা ‘ফেন্টানিল ও অন্যান্য নিষিদ্ধ মাদকের স্রোত ঠেকাতে সহযোগিতায় ব্যর্থ’ হয়েছে এবং তার পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক’ আচরণ করেছে।
কারনি জানান, ফেন্টানিল নিয়ন্ত্রণে কানাডা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করছে।
‘মার্কিন ফেন্টানিল আমদানির মাত্র এক শতাংশই কানাডা থেকে আসে এবং আমরা এই পরিমাণ আরও কমাতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,’ তিনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো চুক্তি (ইউএসএমসিএ)-তে অটল আছে অটোয়া।
‘ইউএসএমসিএ অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কানাডার পণ্যের গড় শুল্কহার এখনো তাদের সব বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে সর্বনিম্ন,’ বলেন তিনি।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে কার্নি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন শুল্ক কাঠ, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি শিল্পে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।