।।বিকে রিপোর্ট।।
ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি চায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সমঝোতা। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ব্যতীত জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি খুব কঠিন- বলেছেন বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্ণাল সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু রুশদ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র ‘৩১ দফার আলোকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী অনলাইন একটিভিস্টদের করণীয় শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় ভাচুয়ালি বক্তব্য দানকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর পান্থপথ অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব জনাব মোহাম্মদ ইসমাইল জাবিউল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগ দেশের যে ক্ষতি করে গেছে তা পুষিয়ে নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঐক্য ও সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য শত উস্কানি সত্যেও সকলকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহনশীলতার সহিত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথকে প্রশস্ত করতে বিএনপির বিকল্প নাই- এটাই জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইসমাইল জাবিউল্লাহ বলেন- দেশ এবং দেশের রাজনীতি এখন বিরাট এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল বিএনপির উপর দায়িত্বও এবং দেশবাসীর প্রত্যাশাও অনেক বেশি।
কিন্তু স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল এবং কয়েকটি দেশ বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন।
বিগত বছরগুলোতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়ণে অসংখ্য অনলাইন এক্টিভিস্ট গুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ তিতিক্ষার জন্যই বিএনপি এখনো একমাত্র রাজনৈতিক দল, যাদের উপর জনগণ ভরসা রাখেন। সেই সাথে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সবরকম সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন- “অনলাইন এক্টিভিস্টদের যথাসময়ে মূল্যায়ন করা হবে। আপনারা সকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লেখালেখি অব্যাহত রাখবেন। বিএনপির সব সময় মিডিয়া ট্রায়েলের শিকার হয়ে আসছে। অনলাইন এক্টিভিস্টগণই বিএনপির প্রকৃত মিডিয়া।
বিশেষ অতিথি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ২০০৬ সাল থেকে সামহোয়্যারইন ব্লগে ব্লগার দাসত্ব, ধীবর, জুলভার্ন সহ অনেক ব্লগারদের সাহসী লেখালেখির কথা তুলে ধরেছেন। সেই সাথে ফেসবুকে জেড ফোর্স সাইবার ট্রুপার্সদের ভুমিকা কৃতজ্ঞতার স্মরণ করে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য অন লাইনে অতীতের ন্যায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেছিলেন সেই একই ভাবে এবং আরো জোরালো ভাবে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন। ২০২৩ সালেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন- সেটা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন।
অনলাইনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মিডিয়া সেল এর প্রধান ডা: মওদুদ আলমগীর পাভেল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জনাব এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলো। অনলাইন এক্টিভিষ্টদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনাব রেজওয়ানুল হক শোভন, জনাব জাহিদ হাসান, জনাব এম হাফিজুল্লাহ, জনাব কে এম নাজমুল হক, জনাব ফসিউল আলম, জনাব শিপন আহমেদ, জনাব মাতবর তৌফিক ও জনাব মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।
বিশিষ্ট লেখক অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট জনাব হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব শহিদুল ইসলাম বাবুল। আরো উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে জনাব ড: সাইমুম পারভেজ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জনাব আমিরুজ্জামান শিমুল, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জনাব ডা: পারভেজ রেজা কাঁকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব দুলাল হোসেন, মিডিয়া সেল এর সদস্য জনাব মাহবুবা হাবিবা, সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব মারুফ জামান, জনাব কর্নেল (অব:) কামরুজ্জামান (বীর উত্তম) প্রমূখ।