শিরোনাম :
সংঘর্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি ৫৬ শিক্ষার্থী, ১জন আইসিইউতে : চবিতে যৌথ বাহিনী মোতায়েন আ.লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে চায় জামায়াতে ইসলামী জাতীয় পার্টির ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে: আসিফ মাহমুদ ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬৮ জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি সাশ্রয়ী মূল্যে পাটের ব্যাগ বাজারজাতকরণ উদ্বোধন করলেন দুই উপদেষ্টা চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের ২য় দিনেও দফায় দফায় সংঘর্ষ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নুরের খোঁজ নিতে ফোন করলেন রাষ্ট্রপতি : উন্নত চিকিৎসা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস আরও দুই হাজার এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে

বাংলাদেশে সরকার বদলালে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে – ভারতীয় সেনাপ্রধানের আশা !

  • আপলোড টাইম : ১১:৩৫ এএম, রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১২৮ Time View
ছবি: সংগৃহিত, ফাইল ফটো

।।বিকে আর্ন্তজাতিক ডেস্ক।।
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।  

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া “অনেক তাড়াতাড়ি” হতে পারে। যেখানে (বাংলাদেশে) সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে।

ভারতীয় এই সেনাপ্রধান বলেন, কারণ আমার মতে, আমি খুব স্পষ্ট করেই বলব, (বাংলাদেশ ও ভারতের) বর্তমান সামরিক-সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। এবং আমরা নিয়মিত ভাবে নোট বিনিময় করি, যাতে যেকোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সন্দেহ এড়ানো যায়।

এছাড়া, পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের মন্তব্য, উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে এবং এটা আমাদের মেনে নিতে হবে।

শনিবার ৮ মার্চ রাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, শনিবার চীন ও পাকিস্তানের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন- (দেশ দুটির মধ্যে) “উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ” রয়েছে, যা মেনে নিতে হবে। নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এক ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে নৈকট্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এর অর্থ কী, আমার মতে, দুটি ফ্রন্টের হুমকি এখন বাস্তবতা।

অধিবেশন চলাকালীন ভারতীয় এই সেনাপ্রধান ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, চলমান সংঘাত থেকে শিক্ষা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পর্কে বিস্তৃত প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, এখন আপনি যে দ্বিতীয় জিনিসটি তুলে ধরেছেন তা হলো- সহযোগিতা বা আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক।

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, যেহেতু আমি বলেছি- সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল একটি নির্দিষ্ট দেশে, তাদের আবার আমার যেকোনো প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তাই আমার চিন্তিত হওয়া উচিত, কারণ যতদূর আমি জানি, সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি সেই দেশ থেকেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আজ আমাদের প্রধান উদ্বেগ।

ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান-চীন সমীকরণকে কীভাবে দেখে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের যা বুঝতে হবে তা হলো… আমাদের খুব স্পষ্ট হতে হবে যে- এখানে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে, যা আমাদের মেনে নিতে হবে। ভার্চুয়াল জগতের ক্ষেত্রে এটি প্রায় ১০০ শতাংশ; আর ভৌত ক্ষেত্রে, আমি বলব যে বেশির ভাগ সরঞ্জাম চীনা উৎপত্তি।

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, সুতরাং, আজকের পরিস্থিতিতে এই যোগসাজশ উদ্বেগের। এর অর্থ, আমার মতে- দুই-ফ্রন্টের হুমকি … আমার কাছে (এখন একটি) বাস্তবতা।

তবে ভারতীয় এই সেনাপ্রধান “সহাবস্থান, সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের” আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধে জড়ানো (এই অঞ্চলের) দেশগুলোর জন্য ভালো নয়। তিনি বলেন, “যুদ্ধ কি উভয় দেশের স্বার্থে ভালো? উত্তর হলো- না। তাই, আমরা যা দেখছি তা হলো- কীভাবে আমরা আজকের পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারি এবং কূটনৈতিক ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা না করা পর্যন্ত তা কীভাবে পরিচালনা করতে পারি।”

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহন করেন। এবং ভারতের প্রচ্ছন্ন ছায়ায় প্রতিপালিত দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এবং তারপর থেকে ভারত পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে চলছে।  

এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। এবং জাতিসংঘ প্রতিবেদন সহ বাংলাদেশের আদালতে বিচারাধিন মানবাধিকার লংঘন, হত্যা, গুম সহ বভিন্ন মামলায় শেখ হাসিনার অপরাধ প্রমাণীত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবার ব্যাপারে ভারতকে অনুরোধ করলেও ভারত নির্লিপ্ত আচরণ করছে।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech