Breaking News:


বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি

  • আপলোড টাইম : ০৮:২৮ পিএম, মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
  • ১৭ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে রিপোর্ট।।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

মঙ্গলবার ৩ জুন বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৫-২৬ প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি, বাজেট বাস্তবভিত্তিক হলেও নতুন বন্দোবস্তের যে আকাঙ্ক্ষা, অর্থনৈতিক রূপান্তরের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল মূলত কর্মসংস্থানের আন্দোলন থেকেই। ফলে তরুণদের ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা ছিল যে বাজেটে বেকার সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ থাকবে।

তিনি বলেন, গত এক বছরে ২৬ লাখ বেকার বেড়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা ছিল বাজেটে এই ধরনের নীতি গ্রহণ করা হয়নি এবং ব্যাংকের ওপর যে নির্ভরশীলতা, সেটা অব্যাহত রয়েছে আগের মতোই। ফলে এই বাজেট থেকে বেকার সমস্যা নিরসন হবে সেটা আমরা মনে করছি না।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের যেসব অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে সেগুলো তারা অ্যাড্রেস করতে পেরেছে। তবে আমরা যে বৈষম্যহীন সমাজের ভিশনের কথা বলছি, এ বাজেটে সেটা আসেনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আগের যে অর্থনৈতিক কাঠামো, ঋণগ্রস্ত ও লুটপাটের যে অবস্থা ছিল, সেই অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সরকারকে চলতে হচ্ছে। বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে। ফলে সেই কাঠামোর ভেতরেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এই বাজেট থেকে যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা বেকারত্ব দূর হবে সেটা আমরা মনে করছি না।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা চেয়েছিলাম প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারে সরকারের নজর থাকবে, তাদের থেকে আমরা যে রেমিট্যান্স পাই তা দেশের অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উত্তণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে। আমরা দেখেছি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়টির বাজেট অর্ধেক করা হয়েছে, এটার জন্য আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য ইনসেন্টিভ থাকবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তারা লাভবান হবে সেটা আমরা দেখছি না এই বাজেটে। ই-কমার্স বা ডিজিটাল ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা ডিজিটাল ইকোনমির ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা উচিত হয়নি। রেজিম পরিবর্তনের পরে এই ইনসেন্টিভ দিয়েও কালো টাকাকে সাদা করার যে খুব সম্ভব হবে সেটিও না। কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগটা বন্ধ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। এই টাকাটা যেন যথাযথভাবে খরচ করা হয়। ওদের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেটা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে পালন করা হয়। এ বাজেট নিয়ে সরকারের অনেক চেষ্টা ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক রূপান্তরের সে ভিশন বা কৌশলটা এই বাজেটের ভেতরে আসেনি।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech