।।বিকে রিপোর্ট।।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হচ্ছে আজ ১ জুলাই। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে এ অনুষ্ঠান হবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা’।
মঙ্গলবার ১ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
অণুষ্ঠানটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হল থেকে জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়াও ঘোষিত অনুষ্ঠানমালা অনুযায়ী শুরুর দিন, অর্থাৎ আজ মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে। একই দিনে জুলাই ক্যালেন্ডার দেওয়া হবে এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির সূচনা করা হবে। এটি চলবে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত।
এদিন জুলাই শহীদদের স্মরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হবে।
অবশ্য প্রতিদিন এই অনুষ্ঠান হবে না। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে দিয়ে এই অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। যেমন ১ জুলাইয়ের পর ৫ জুলাই, তারপর ৭ জুলাই এবং তারপর ১৪ জুলাই অনুষ্ঠানমালা আছে।
শেষ দিন, অর্থাৎ ৫ আগস্ট (অনুষ্ঠানমালায় ৩৬ জুলাই) ৩৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ারিং, ৩৬ জেলার কেন্দ্রে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, গানের অনুষ্ঠান, ‘৩৬ ডেস অব জুলাই’সহ জুলাইয়ের অন্যান্য ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, ড্রোন শোর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসংগত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন হয়। ছাত্র-জনতার এ অভ্যুত্থানকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বা জুলাই বিপ্লব বলা হয়।