Breaking News:


শিরোনাম :
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ২ মাস এনসিপি-সিইসি বৈঠক: ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ‘নৌকা’ বাদ দেওয়ার দাবি সোহাগ হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপি-প্রশাসনকে নিতে হবে: ফয়জুল করীম   ইইউ ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩৬ স্থানে ভাঙন, এবারও ক্ষতি কয়েক কোটি টাকা খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না, প্রশ্ন তারেক রহমানের আলোচনার মাঝেও হামলা অব্যহত, ইসরাইলের কারণে আটকে যাচ্ছে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মোংলা বন্দরে একটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন, চারটি দ্রুত এগোচ্ছে  খুনিরা যে দলেরই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে : ডিএমপি

খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না, প্রশ্ন তারেক রহমানের

  • আপলোড টাইম : ১১:৪২ এএম, রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ১৬ Time View
ছবি: সংগৃহিত

।।বিকে রিপোর্ট।।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে কোনো কোনো দল ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যে ছেলেটি মারা গেছে তার সঙ্গে হয়ত যুবদলের সম্পর্ক আছে। কিন্তু আমরা যেটা খবর পেয়েছি, যে খুন করছে বা যে হত্যা করেছে তাকে অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

শনিবার ১২ জুলাই জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

গুলশানে হোটেল লেকশোরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শহীদদের স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভার্চুয়াল বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, তাকে (হত্যাকারী) ধরা হচ্ছে না। ধরা হলো অন্যদেরকে। তাকে আসামি এখন পর্যন্ত করা হয়নি বোধ হয়। কেন হয়নি, কেন ধরা হচ্ছে না।

আমাদের পক্ষ থেকে তো একবারও বলা হয়নি অমুককে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। আমরা বরাবরই বলেছি, অন্যায়কারীর আইনের দৃষ্টিতে বিচার হবে। দলের সঙ্গে তার কি সম্পর্ক কিছু যায় আসে না তাতে। তাকে দল কোনো রকম প্রশ্রয় দেবে না কেউ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে।

তাহলে প্রশাসন ধরছে না কেন তাকে– প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দলীয় অবস্থান থেকে আমাদের যা যা করা প্রয়োজন, তদন্তের পরে যাদের যাদের সম্পর্কে প্রমাণিত হয়েছে অভিযোগ আমরা আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন বসে আছে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না খুনিদের বিরুদ্ধে… সেটি দলের হোক বা অন্য কেউ হোক কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিকুল ইসলাম রাকিব) সাথে সুর মিলিয়ে একই সুরে বলতে চাই ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, কাজেই এ দেশের মানুষ যেমন একাত্তর সালে স্বাধীন করেছে এই দেশ, এই দেশের মানুষ যেমন বিভিন্ন সময়ে তাদের নিজের অধিকারের রক্ষায় সোচ্চার হয়েছে, নব্বইতে সোচ্চার হয়েছে, চব্বিশে সোচ্চার হয়েছে… আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে আবারও আপনাদের সোচ্চার এবং সচেতন হতে হবে। কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণেক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে… এই সব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

আজ আমি দেশবাসীর সামনে পরিষ্কারভাবে বলছি, দেশটি কোনো কারো একক না, কোনো রাজনৈতিক দলের না, দেশটি সমগ্র বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের। কাজেই ২০ কোটি মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, এই দেশটিকে নিয়ে আমাদের সবার ভাবতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, আপনারা নিজেরাই অনেকে এখানে বক্তব্যে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনো বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে… প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনো এই ভূত লুকিয়ে আছে। কাজেই সেই ভূত এবং বর্তমানের নতুন কোনো যদি ভূত থাকে তারা কি ষড়যন্ত্র করছে সেই সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই এ দেশকে টিকিয়ে রাখার মুশকিল হবে।

তিনি বলেন, আপনারা বিচারের কথা বলেছেন, বিচারের কথা শুধু আপনাদের কথা নয়। বিচারের কথা সমস্ত বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি, কথা। কাজেই কেন আমরা সেটি করব না? অবশ্যই বিএনপি যখনই সুযোগ পাবে অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার… কারণ এটি আমাদের কমিটমেন্ট।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে যদি আমরা মিডিয়া দেখি, দেখব একটি বিষয়কে ঘিরে বিভিন্ন রকম কিছু ম্যাসেজিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিছু একটি গল্প তৈরি করার হচ্ছে।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি যা বলে তা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। কিন্তু আমরা কী দেখেছি? অনেকগুলো রাজনৈতিক দলকে দেখেছি… কারো ব্যাপারে আমরা দেখেছি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের ভূমিকা। যখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, আমরা দেখেছি দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা কে করেছে? কাদের পক্ষ থেকে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য এ দেশের মানুষকে যুদ্ধের ডাক দেয়নি, ডাক দেওয়ার দায়িত্ব তাদের ছিল। কিন্তু ডাক না দিয়ে আমরা দেখেছি সবাই মিলে কোনো দেশে লুকিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। কে ছিল এই দেশে? এ দেশের জনগণ ছিল, এ দেশে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল।

যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমরা কাউকে দেখেছি, দূরের একটি দেশের গান গাইতে আবার কাউকে দেখেছি একটি প্রতিবেশী দেশের গান গাইতে। এখন তো দেখা যাচ্ছে বিএনপি ছাড়া বিভিন্ন দল বিভিন্ন দেশের গান গাইছে বাংলাদেশে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি জোর গলায় বলতে চাই, বিএনপি বিশ্বাস করে বাংলাদেশের জনগণ সব ক্ষমতার উৎস, বিশ্বাস করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে। বিশ্বাস করে বাংলাদেশই সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ ঠিকানা।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য দেন।  

সোস্যাল মিডিয়াতে নিউজটি শেয়ার করুন

আরও পড়ুন
© All rights reserved © 2025. Bangalir Khobor
Developed by Tiger Infotech