।।বিকে রিপোর্ট।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। সম্প্রতি ট্রাভেল পাস নেওয়ার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর সেই ট্রাভেল পাস পেয়েছেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান।
পোস্টে জাইমা লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ, বাবা আজ কিছুক্ষণ আগে ট্রাভেল ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। বিমানটির ঢাকায় অবতরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট।

এদিকে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আরও বেশি স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তার দেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছিল। গত ২৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন ও তার মা বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার পর তারেক রহমান জানান, দেশে ফেরা কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়। তবে ১২ ডিসেম্বর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় যে, ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।
তার আগমনকে ঘিরে দলের পক্ষ থেকে একটি অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক রহমান।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অভ্যর্থনার স্থান নির্ধারণে যাচাই-বাছাই চলছে। সম্ভাব্য সমাবেশ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ঐতিহাসিক জনসমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
প্রসংগত, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর কথিত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে তারেক রহমান প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেন। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি লন্ডন চলে যান। এরপর থেকে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরছেন তিনি।