National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل

রাশিয়ার কাজান শহরে ৯/১১ স্টাইলে ড্রোন হামলা

রুশ-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে এক হাজার কিলোমিটার ভেতরে রাশিয়ার তাতারাস্তান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কাজান শহরে বড় পরিসরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। অনেকটা ৯/১১-র ধাঁচেই বহুতলগুলিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি।

শনিবার ২১ ডিসেম্বর সকালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরটি হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ ড্রোন হামলায় আবাসিকসহ বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একের পর এক ড্রোন হামলার পর ১৩ লাখ বাসিন্দার শহরটি থেকে অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তবে দফায় দফায় এ হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।

হামলার পর কাজান শহরের সব ধরনের বড় আয়োজন বাতিল করা হয়েছে, জানান কাজানের মেয়র। এ হামলার ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি ।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ২০০১ সালে আমেরিকার নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হওয়া হামলার দৃশ্যের মতোই এটি। ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোন হামলার পর আগুন ধরে যায় ভবনে। ধোয়া ছড়িয়ে পড়তে থাকে। হামলার পর সতর্কতা জারি করেছে দেশটি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোট ৮টি ড্রোন কাজান শহরে হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে ৬টি ড্রোনই হামলা চালিয়েছিল আবাসিক বহুতলগুলিতে। শনিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিন দফায় কাজানের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন হামলা চালানো

তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পরই নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজান বিমানবন্দরে। এমনকি শনি ও রবিবার সমস্ত সমাবেশও বাতিল করা হয়েছে।

মস্কো থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাজান শহরটি। মস্কোর দাবি, ইউক্রেন এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যদিও রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকটি ড্রোনকে তৎপরতার সঙ্গে ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে নিজেদের নিরাপত্তা নীতির স্বার্থে এই হামলা নিয়ে কিছু জানায়নি ইউক্রেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে ২০০১ সালে বিমান হামলা হয়। এটি ৯/১১ নামে পরিচিত। ওই সময় ওয়াশিংটনের পেন্টাগনেও হামলা করা হয়। আরেকটি হামলা হয় পেনসিলভানিয়ায়। এসব হামলায় তখন ৩ হাজার মানুষ মারা যায়। এর জেরে আফগানিস্তানসহ বেশ কিছু দেশে ক্র্যাকডউন চালায় আমেরিকা।