National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

অত্যাচারের কারণে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে: সারজিস আলম

  ।।বিকে রিপোর্ট।।   বুধবার | ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪ | ০১:০৯ পিএম

হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে তার অত্যাচারের কারণে। এমন লজ্জাজনক পতন বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারপ্রধানের হয়নি। আগামীতেও এমন ঘটনার অবতারণা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না- বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মহান বিজয় দিবস ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনিএসব কথা বলেন ।

সারজিস আলম বলেন, এতদিন মহান বিজয় দিবস ছিল আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে শুধুমাত্র দুটি গান বাজত, যা আপনারা সকলেই জানেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা, সংবিধান ও রাষ্ট্র কোন একক দল, ব্যক্তি কিংবা পরিবারের হতে পারে না।

কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এসব নিজের পারিবারিক সম্পদ মনে করেছিল। গত ১৬ বছরে আমরা কেউ এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারিনি। যারাই এসবের বিপক্ষে কথা বলেছেন তাদের গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছে। এমন কি মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর গুম কমিশনের একটি রিপোর্ট এসেছে সেখানে বলা হয়েছে যারা খুনী হাসিনা রেজিমের বিরোধিতা করেছে,তাদের গুম করা হয়েছে। টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে গুম করা হয়। তারপর যখন ট্রেন আসে তখন নির্জন জায়গায় নিয়ে রেল লাইনের ওপর দেহ রেখে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরে সেটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানো হয়েছে। এমন অসংখ্য মানুষের নির্যাতনের ঘটনা ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নিতে ভারত গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশটি আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাই দেশের জনগণ এক বিন্দু রক্ত থাকতে ভারতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে যাবে। ভারতের তাঁবেদারি বাংলাদেশের জনগণ করে না এবং আগামীতেও করবে না।

হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে তার অত্যাচারের কারণে। এমন লজ্জাজনক পতন বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকার প্রধানের হয়নি। আগামীতেও আর এমন ঘটনার অবতারণা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।

ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মহান বিজয় দিবসকে পারিবারিক সম্পদে পরিণত করেছিল। মহান বিজয় দিবস ছিল আওয়ামী লীগের বিজয় দিবস। এই দিবসে শুধু দুটি গান বাজানো হতো, যা আপনারা সবাই জানেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নিতে ভারত গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের দোসর আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তাই দেশের জনগণ একবিন্দু রক্ত থাকতে ভারতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে যাবে।

সারজিস আলম বলেন, আগামী দিনে আমাদের লড়াই হবে কঠিন ও দীর্ঘ সময়ের। ভারতের তাঁবেদারি বাংলাদেশের জনগণ করে না এবং আগামীতেও করবে না।

শহরের বিমানবন্দর সড়কের অফিসার্স কলোনি ফাইভ স্টার মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সৈয়দপুরের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অনেকের মধ্যে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুল গফুর সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মো. রেদোয়ান ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সৈয়দপুরের সদস্য জাবেদ আত্তারীর সভাপতিত্বে এসময় মঞ্চে সৈয়দপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সৈয়দপুরের নিহত সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর পৌর শাখার আমির মো. শরফুদ্দিন খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।