শিক্ষার্থীদের ‘গুপ্তহত্যা’র বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা দেখছি নানা জায়গায় শিক্ষার্থী গুপ্ত হত্যা হচ্ছে। এটা অ্যাড্রেস করা খুবই জরুরি। গুপ্তহত্যার ব্যাপারে সরকার কী অবস্থান নেবে? কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? ২৪ ঘণ্টা মধ্যে তাদেরকে জানাতে হবে।
বুধবার ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল-সংক্রান্ত বিধির বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের আগস্ট মাসে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে আগত শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, অভ্যুত্থানের সময় ছাত্ররা মাঠের শক্তি ছিল। ছাত্র-জনতা মিলে এই অভ্যুত্থান করেছে। অথচ আমরা দেখছি নানা জায়গায় শিক্ষার্থী গুপ্তহত্যা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না দেখি তাহলে প্রশ্ন করতে হয় সরকারে আসলে কারা আছে?
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ একটা নিরাপদ দেশ হোক, এ মুহূর্তে এটাই চাচ্ছি। কিন্তু ছাত্ররা যদি অনিরাপদ হয়ে যায়। তাদের যদি এভাবে গুপ্তহত্যা করা হয়, তাহলে সরকারে কারা আছে, সেই প্রশ্ন করতে হয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার। তাদের মন্থর গতি অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই শিক্ষকেরা অনেকাংশেই শিক্ষার্থীদের আশ্রয় (জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে) দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিক্ষাসহ শিক্ষকদের যত অসুবিধা আছে, বেতনকাঠামো আছে, এগুলোকে আন্তর্জাতিক কাঠামোতে নেওয়ার পক্ষে অবস্থান জানান সামান্তা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র বলেন, আমরা দেখেছি নানা মহল থেকে অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। তাহলে কি তারাই সরকার চালাচ্ছে? সরকারে কারা আছে? কারা নীতিনির্ধারণের জায়গায় আছে? গুপ্তহত্যার ব্যাপারে তারা কি অবস্থান নেবেন? কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? ২৪ ঘণ্টা মধ্যে তাদের জানাতে হবে।