জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কাউন্সিলর কিংবা অন্য কোনো পদধারী ব্যক্তিকে স্বপদে বহাল চায় না।
সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার অপসারিত কাউন্সিলরদের একাংশের পুনর্বহালের দাবিকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্কের মধ্যে এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ জনপরিসরে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে ওই সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি করেননি।
আরও বলা হয়, কাউন্সিলর সমাবেশে মূলত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ব্যতীত ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে ভূমিকা পালন করেছিল, তাদেরকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ৪২(ক) ধারা মোতাবেক ‘প্রশাসক’ হিসাবে নিয়োগ প্রদান করার ব্যাপারে মত ব্যাক্ত করেছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বিগত ফ্যাসিবাদী সময়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ও কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, তা সত্ত্বেও ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ সকল স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে জয়লাভও করে। ফলে ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ গঠন করা ব্যতীত ওই পরিস্থিতির সঠিক পর্যালোচনা সম্ভব নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত কার্যকরী রূপরেখা তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও তারা মনে করেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিল কর্তৃক ‘ছাত্র গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সিটি এবং পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি ও বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে’ আয়োজিত কাউন্সিলর সমাবেশে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি জানান বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এটা নিয়ে ফেসবুকে বিএনপির নানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।