৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ২০ অক্টোবর ভোররাতে রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিটিভি ভবনের পেছনের একটি বাসায় মনি ভাড়া থাকতেন। ওই বাসায় মনি একাই থাকতেন। বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বাড়িওয়ালা আজ ভাড়া নিতে গিয়ে অনেকবার কলিংবেল বাজিয়ে সাড়া পাননি। এ ছাড়া, ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসায় তার সন্দেহ হয়।
তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান। সেখান থেকে আমাদের জানানো হলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে,' বলেন আতাউর।
নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী ‘কী ছিলে আমার বলো না তুমি’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তবে মাঝখানে দীর্ঘদিন নতুন গান প্রকাশ থেকে বিরত ছিলেন তিনি।
চলতি বছর গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নতুন করে গান করার কথা জানিয়েছিলেন ‘এই তুমি সেই তুমি’ খ্যাত ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় এই গায়ক। তিনি জানিয়েছিলেন, আলাদা করে দেড়শ গান তৈরি করেছেন। যে গানগুলো তিনি জীবদ্দশায় প্রকাশ করতে চান না। কিছু গান মৃত্যুর পরও প্রকাশ পাবে বলেও জানিয়েছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী।
মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত, অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তাঁরই সুর করা, তাঁরই লেখা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর