আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার মাসুম আজিজ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম। মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রী এবং দুই সন্তান রেখে গেছেন।
শিল্পীর হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত সপ্তাহে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। এ বছর জানুয়ারির দিকে তার দেহে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন তিনি। এছাড়াও ক্যানসারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে তার হার্টে চারটি ব্লক ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, আজ সোমবার স্কয়ার হাসপাতালে রাখা হবে অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ। আগামী কাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৷ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগণ সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তবে মাসুম আজিজের দাফনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাসুম আজিজ একাধারে অভিনয়শিল্পী, চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে তার অভিনয়ের শুরু। ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন।
২০০৬ সালে ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।