জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সুরেলা কণ্ঠের জন্য বিখ্যাত চাইম ব্যান্ডের ভোকাল খালিদ আর নেই।
সোমবার ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকার পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। গত রাত ১১ টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পীর দাফন তাঁর গ্রামের বাড়িতে হবে বলে জানা গেছে।
তার মৃত্যুতে দেশের সংগীত ভুবনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, কয়েক বছর ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তার হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো ছিল।
গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা করেন। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের স্বর্ণযুগের উজ্জ্বল নক্ষত্র খালিদ ১৯৮৩ সালে চাইম ব্যান্ডে যোগ দেন তিনি। তিনি চাইমের খালিদ নামে পরিচিত। ১৯৮৭ সালে সারগাম থেকে প্রকাশিত ‘চাইম’ এর প্রথম অ্যালবাম (সেলফ টাইটেলড) দিয়ে যাত্রা শুরু তার। চাইমের ব্যান্ড অ্যালবামের চেয়ে খালিদ জনপ্রিয় হয়ে যান ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে। মূলত খালিদ তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম দিয়ে।
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের আরেক তারকা প্রিন্স মাহমুদের ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামগুলোতে খালিদ তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। প্রিন্স মাহমুদের অ্যালবামগুলোর মধ্যে খালিদের গাওয়া ‘কিভাবে কাঁদাবে’, ‘আবার দেখা হবে’, ‘নীরা’, ‘আকাশনীলা’, ‘কোন কারণেই’, ‘হয়নি যাবার বেলা’ শ্রোতা মহলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।
ক্যারিয়ারে তুলনামূলক কম গান করলেও প্রায় সব গানেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন খালিদ। গানে গানে তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম। ‘নাতিখাতি বেলা গেল’, ‘কালো মাইয়া’, ‘সরলতার প্রতিমা’সহ তার গাওয়া অনেক গান মানুষের মুখে মুখে। কিংবা ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘হয়নি যাবার বেলা’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘মনে তো পড়ে মন কেঁদেছিল’র মতো অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে তার।