সংবিধানে বর্নিত নির্ধারিত স্থান ছাড়া বাকী সব জায়গা থেকে জাতির জনকের
সব ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে
-ম,ম,বাসেত
।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।
সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদে বর্নিত / নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও জাতির জনকের ছবি বা প্রতিকৃতি
থাকতে পারবেনা বা কোথাও কেউ টাঙ্গাতে পারবে না অথবা ব্যবহার করতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তি ,পরিবার বা দলের সম্পদ নন-তিনি জাতির সম্পদ ও জাতির সন্মানীত ব্যক্তি।
তার প্রতি সন্মান জানানোর উপযুক্ত স্থান সমাধিস্থল।
সারা পৃথিবীতেই তাই করা হয়।
কোন দলের প্রচার পত্র,ব্যানার, বা অন্যকোনভাবে তার ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিষয়ে মন্ত্রী সভা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিও রয়েছে-দরকার কঠোরভাবে তার প্রয়োগ
সরানোর প্রত্রিুয়া:
সংবিধান নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্যস্হানের ছবি /প্রতিকৃতি সরানোর জন্যে থানার পুলিশকে অবহিত করলে ইনসপেক্টর পদমর্যার কর্মকর্তা
গিয়ে সেলূট দিয়ে তা নামিয়ে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করবেন অথবা সন্মানের সাথে সেগুলো বিধিবন্ধ নিয়মে নস্ট করে ফেলবেন।
এই বিষয়ে আমার বহু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করলেও তা অব্যাহত রাখতে না পারায়
বিশৃংখলা পরিলক্ষিত হচ্ছিল।
সংবিধানের ৪(ক) অনুচ্ছেদ:
প্রথম ভাগ
প্রজাতন্ত্র
” অনুচ্ছেদ: ৪(ক) “
জাতির পিতার প্রতিকৃতি্।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারী ও আধা-সরকারী অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।”
( এই অনুচ্ছেদটি ২০১১সালে সংবিধানের পন্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার সংবিধানে যুক্ত করেছেন। যতদিন সংবিধানে এই বিধান থাকবে ততদিন এটা সবাইকে অনুসরন করতে হবে এবং কোন অবস্হাতেই কাউকেই এর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ দেয়া যাবে না ) ।
( লিংক দুটি ইউটিইউব-র সেজন্যে )
মন্তব্য:জাতিরজনকের প্রতি যে কোন ধরনের অসন্মানজনক আচরনের কারনে
পরিস্হিতি ্উলট পালট হয়ে যেতে পারে।