কেবিনেট সেত্রেুটারী জবাব চাই:
নীচের পদত্যাগ পত্রটি
সঠিক কিনা?
-ম,ম,বাসেত
।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।
সংবিধান অনুযায়ী দেশে সংসদীয়
পদ্ধতির সরকার ব্যবস্হা বিদ্যমান।
প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্হা থাকলে
প্রেসিডেন্ট ( সরকার প্রধান ও রাস্ট্রপ্রধান)
জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত
হতেন এবং রাজপথে জনগনের আন্দোলন -বিক্ষোভ
গনঅভ্যুথ্থান-ইত্যাদির কারনে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ
করে চলে যেতেন।
কিন্তু,সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্হায় সংসদে
যতক্ষন পর্যন্ত সরকারী দলের মেজরিটি থাকবে
ততদিন পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকবে এবং সাংবিধানিক
প্রত্রিুয়ায় নতুন সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারী দল
ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে-স্বাভাবিক অবস্হায় এটাই হওয়ার কথা।
কিন্তু.ব্যতিত্রুম পন্হায় /গায়ের জোরে/অস্ত্রের জোরে/ভয় ভীতি
দেখিয়ে কাউকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কোন
সাংবিধানিক বা আইনগত সুযোগ নেই-রাস্ট্র ডুবে গেলেও না।
এই পদ্ধতিতে রাজপথ জন অভিপ্রায় ব্যক্ত করার
আইনসম্মত ও উপযুক্ত ক্ষেত্র নয়-আইনসম্মত একমাত্র
ক্ষেত্র হচ্ছে-জাতীয় সংসদ।
জাতীয় সংসদের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদত্যাগ করেছেন বলে রাস্ট্রপতি উল্লেখ করেছেন ভাষনে।
শেখ হাসিনা তা অস্বীকার করেছেন এবং সুস্পস্টভাবে বলেছেন-*”আমি
পদত্যাগ করিনি এবং সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদের আলোকে আমার পদত্যাগ হয়নি।ফলে বিষয়টি নিয়ে কন্ট্রভার্সির সৃস্টি হওয়ায় সাংবাদিক হিসাবে আমাদের নৈতিক পেশাগত দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে-জাতিকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করা।
বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে এই ধারনার সৃস্টি হয়েছে-
শেখ হাসিনার কাছ থেকে জোর করে এই পদত্যাগ পত্র আদায় করে
তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে এবং তার এই
পদত্যাগ পত্রটি ভুয়া।
এটি সঠিক বা ভুয়া কিনা-এই বিষয়ক জনমনের
সন্দেহ সংশয় দুর করার দায়িত্ব কেবিনেট সেত্রেুটারী
হিসাবে আপনার।কারন ,এই ধরনের গুরুত্বপুর্ন
সরকারী/রাস্ট্রীয় ডকুমেন্ট আপনার তত্বাবধানেে একজন অতিরিক্ত সচিবের কক্ষে তার হেফাজতে শক্তিশালী ভোল্টের মধ্যে
সংরক্ষিত থাকে ন্যুনতম ২৫ বছরের জন্যে।
এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার দুইবারের পদত্যাগ
পত্রের কপি সাংবাদিকদের মধ্যে একমাত্র
আমার কাছেই দীর্ঘদিন যাবত হেফাজতে ছিল /আছে।
কন্ট্রভার্সি না থাকায় সেগুলো নিয়ে কলম ধরার প্রয়োজন হয়নি।
অতএব,আমি জানি এই সব পদত্যাগ পত্রে কি লেখা থাকে।
এমপি হিসাবে শপথ গ্রহনের পর সংসদের বইতে
সব এমপির স্বাক্ষর থাকে এবং আমার কাছেও শেখ হাসিনার স্বাক্ষর রয়েছে এবং আমি কিছুদিন আগেই দুই নেত্রীর স্বাক্ষরের ওপর - “হাতের লেখা দেখে কাকে বেশী শিক্ষিত মনে হয়” শিরনামে একটি humorous পোস্ট দিযেছিলাম এখানে।অতএব , সত্য লুকানোর কোন সুযোগ নেই।
আপনি জানেন-বাংলাদেশ একটি পিপলস রিপাবলিক এবং
সে কারনে জনগনই এই রাস্ট্রের সকল ক্ষমতার উতস এবং জনগনের
এই ডকুমেন্ট সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে।
সাংবাদিক হিসাবে জনমনের চাহিদার আলোকে এই অতীব জনগুরুত্বপুর্ন( public interest litigation) বিষয়টির ব্যাপারে আপনার দৃস্টি আকর্ষন করছি ।আমরা চাই .একটি জাতি ও রাস্ট্র স্বচ্ছতার মধ্য
দিয়েই অগ্রসর হোক এবংসকল মত বিরোধ ও বৈষম্যের অবসান হোক
-
-ম,ম,বাসেত
( সিনিয়র সাংবাদিক
নাগরিক ও ভোটার)