এটার নাম গন অভ্যূত্থান নয়- গন বিশৃংখলা”: ম,ম,বাসেত
।।মো:মাহবুবুল বাসেত ।।
সরকারের কার্যবিধিমালার (RULES OF BUSINESS) চতুর্থ পরিচ্ছেদে” মন্ত্রী সভার বেঠকে” যে সব বিষয উত্থাপন করা হবে বা করতে হবে তার একটি তালিকা রয়েছে বা দেয়া আছে-
যা অনুসরন করা বাধ্যতামুলক-না করলে বেআইনী হবে,বাতিল হয়ে যাবে।
এই তালিকার (১) নম্বরে বলা হয়েছে :
”(১)অধ্যাদেশ জারী সহ আইন প্রনয়ন সংত্রুান্ত বিষয়াদি” ( মন্ত্রীসভার বৈঠকে উত্থাপন করতে হবে)।
অধ্যাদেশের বিষয়বস্তু একদিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে নীতিগতভাবে
অনুমোদন নিতে হয় এরপর অধ্যাদেশের ( আইন) খসড়া তৈরী করে অনুমোদন নিতে হয় আরেকদিনের বৈঠকে।পরে সারসংক্ষেপ আকারে বর্ননাসহ ( কি কারনে অধ্যাদেশটি আনা হচ্ছে তার বর্ননাসহ) প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর নিয়ে রাস্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয় সইয়ের জন্যে। রাস্ট্রপতি সহ করলে এটি আইনমন্ত্রনালয় হয়ে বিজি প্রেসে যায় ছাপার বা প্রকাশের জন্যে। গেজেটে ( সরকারী পত্রিকা) প্রকাশ হলেই এটি কার্যকর আইনে পরিনত হয় এবং সংসদের পরবতী প্রথম বৈঠকে উপস্থাপন করে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ কর্তৃক ভোটের মাধ্যমে পাশ না হলে তার আর কোন কার্যকারীতা থকে না।
সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকলে জরুরী প্রয়োজনে রাস্ট্রপতিকে দিয়ে সরকার এই ধরনের অধ্যাদেশ জারী করায়।
সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় আমাদের দেশে ৬০দিনের বেশী সংসদের অধিবেশন মুলতবী রাখা যায়না এবং এটাই সাংবিধানিক বিধান।
প্রশ্ন হচ্ছে-দেশে এখন মন্ত্রীসভা নেই এবং প্রধানমন্ত্রীও নেই। এমতাবস্হায় রাস্ট্রপতি কোন অধ্যাদেশ জারী করলে বা তাকে দিয়ে কোন অধ্যাদেশ জারী করালে তা কি করে বৈধ হবে?
অথচ ড.ইউনুসের সরকার শুধূ অধ্যাদেশই নয়- অহরহ একটার পর একটা এই রকম অবৈধ কাজ করে রাস্ট্রটাকে একটা বিপর্যয়কর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছেন।এটাতো “গন বিশৃংখলার” মারাত্বক কুফল-তথাকথিত গনঅভ্যূত্থানের সুফল নয়।
দুর্ভাগ্য দেশ ও জাতির-কারন ,জাতি বার বার একেকটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিযে মন্দের চেয়ে ভাল কিছু পাচ্ছেনা বা দেখছেনা-বরং মন্দের চেয়েও আরো মন্দ কিছু দেখছে ও পাচ্ছে।
অথচ.সারা পৃথিবীর গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হার প্রথম ও একমা্ত্র শর্ত হচ্ছে-”জনপ্রতিনিধি ছাড়া” দেশ বা সরকার একদিনের জন্যেও চলবেনা বা থাকতে পারবেনা বা শাসিত হবে না।।আর জনপ্রতিনিধি নির্ধারনের একমাত্র মাফকাঠি হল নির্বাচন-রাজপথ নয়।
ড.ইউনুস কোন নির্বাচনী প্রত্রিুয়ায় উপদেস্টা হয়েছেন বা এই পদটি গ্রহন করেছেন তা বোধগম্য নয়।কোন শিক্ষিত লোক সংবিধান বহাল থাকা অবস্হায় এমন কাজ করতে পারেন তা ভাবতেও আমাদের কস্ট হচ্ছে এবং আমরা অসুস্হ হয়ে পড়ছি।
ঊল্লেখ্য,সরকার ও মন্ত্রীসভার মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে এই কার্য বিধিমালা