National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি-প্রতীকি অর্থে ব্যবহৃত

সম্পাদকের কলাম :৫৩ বছরে জাতি একবারই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রনয়ন করেছিল সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা- তা মুছতে চায় এরা কারা? জামায়াত আসলে কি চায়?-ম,ম,বাসেত

  ।।বিকে ডেস্ক।।  মঙ্গলবার | অক্টোবর ২৯, ২০২৪ | ১১:৩২ পিএম

৫৩ বছরে জাতি একবারই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রনয়ন করেছিল সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা- তা মুছতে চায় এরা কারা? জামায়াত আসলে কি চায়?-ম,ম,বাসেত

।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।

১৯৯১ সালের ৬আগস্ট-জাতির জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন এই দিন জাতীয় সংসদের বৈঠকে পাশ হয়েছিল সর্ব সর্ম্মতিত্রুমে ও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে “সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা।

প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিনের অসাংবিধানিক কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হযেছিল এই সংসদ। প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ছিল এ যাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বারটি। সরকারী দল-বিএনপি। বিরোধী দল-আওয়ামীলীগ। ১ম বিরোধী দলীয় গ্রুপ জাতীয় পার্টি। ২য় বড় বিরোধী দলীয় গ্রুপ-জামায়াতে ইসলামী।

প্রধামমন্ত্রী ও সংসদ নেতা-বেগম খালেদা জিয়া। বিরোধী দলীয় নেতা-শেখ হাসিনা। ১ম বেরোধী দলীয় গ্রুপ নেতা-ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ২য় বিরোধী দলীয গ্রুপ নেতা-মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী।

সাধারনত কোন বিল ( আইনের খসড়া) উত্থাপন করেন আইন মন্ত্রী। কিন্তু বিশেষ গুরুত্ব বিবচনায় বিলটি উত্থাপন করেছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

সংবিধান সংশোধন বিল পাশ করতে হয় ২/৩ মেজরিটির ভোটে( বিভক্তি ভোটে) । ৩৩০জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন -৩০৭জন সদস্য- বাকীরা ছিলেন অসুস্থ বা দেশের বাহিরে। জাতীয় সংসদ সর্বসম্মতিত্রুমে এই আইন পাশ করে এবং দীর্ঘক্ষন ধরে টেবিল চাপড়িয়েে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করে- যা কোনদিনই ভোলার মত নয। এর আগে ১৭টি বছর ধরে চলেছিল- প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি ও সংসদীয পদ্ধতির পরীক্ষা -নিরীক্ষা।

সংসদীয় পদ্ধতির সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থার মুল সুবিধা হচ্ছে:

(ক) এই পদ্ধতিতে সরকার প্রধান বা সরকারের প্রধান নিরবাহী হচ্ছেন-প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যৌথভাবে জবাবদিহি করবেন সংসদের কাছে আর সরকার নিয়ন্ত্রীত হবে সংসদীয় কমিটিগুলোর মাধ্যমে।

(খ) এই পদ্ধতির সাংবিধানিক বিধানে এক দিনের জন্যেও কোনভাবেই দেশে বা প্রশাসনে/ সরকারে সাংবিধানিক সংকট সৃস্টির সুযোগ রাখা হযনি- অর্থাৎ জনপ্রতিনিধি ছাড়া একদিনের জন্যেও “অন্য কারোরই” দেশ বা সরকার চালানোর কোন সুযোগ নেই। সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই সব ঠিক করে রাখা আছে।

(ঘ)এ্ পদ্ধতিতিতে অগনতান্ত্রিক বা অরাজনৈতিক শক্তির { কোন অজুহাতেই) নির্বাচনী প্রাত্রুয়া ছাড়া ক্ষমতায় আসার /বসার/ থাকার কোন সুযোগ রাখা হয়নি এবং সরকার পরিবর্তনেরও কোন সুযোগ নেই-সাংবিধানিক প্রত্রিুয়া ছাড়া।

(ঙ) এই পদ্ধতিতে রাস্ট্রপতি পরিবর্তনের একমাত্র স্থল জাতীয় সংসদ।

অতএব, জাতীয় সংসদে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ”কোন সাংবিধানিক বিধান” পরিবর্নের ক্ষমতা বিএনপি ,আওয়ামীলীগ ,জাতীয় পাটি বা জামায়াত কি রাখে?

যারা এই সব বিষয়ে কথা বলছে-তাদের কি কোন রাজনৈতিক দল ও রেজিস্ট্রেশন বা কথা বলার কোন আইনগত ভিত্তি আছে? কোন একসময়তো ”ভিত্তিহীন এইসব কাজকর্ম” আইনের দৃস্টিতে সন্ত্রাসী কর্ম হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

বিএনপির মত সাংবিধানিক রাজনীতি ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল ( তিনবার এই সাংবিধানিক প্রত্রিুয়ায় ক্ষমতায় আসা) সে দায়-দায়িত্ব কেন নেবে? এখানে স্বাভাবিক কারনেই আরেকটি প্রশ্ন আসবে-জামায়াত এই দেশে আসলে কি চায়?

-ম.ম.বাসেত

সাবেক সংসদ রিপোর্টার