অনির্বাচিত কাঠামোর উদ্যোক্তাদের গর্দান নেয়ার বিধান সংবিধানে যুক্ত:
২০৪০ পর্যন্ত একটানা ক্ষমতায় থাকার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে আওয়ামীলীগ
--ম,ম,বাসেত
।। মো:মাহবুবুল বাসেত।।
আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনা,পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাদের নেতৃত্বে একটানা ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকার/টিকে থাকার লক্ষ্য স্থির করে এগুচ্ছে-এটা একেবারেই সুস্পস্ট। শুধু তাই নয়-তারা এ জন্যে সংবিধান থেকে কেয়ারটেকার সরকারের বিধান তুলে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে কেউ ”কোন অনির্বাচিত কাঠামোর” (কেয়ারটেকার সরকার বা জাতীয় সরকার-যে নামেই হোক) প্রস্তাব করতে না পারে-সংবিধানে সে ব্যবস্থা করে রেখেছে এবং এ জন্যে রাস্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে গর্দান নেয়ার বিধান যুক্ত করে রেখেছে সংবিধানে।
অন্যদিকে,বিএনপি শেখ হাসিনার পদত্যাগ বা বিদায়ের আগে ‘কেয়ারটেকার বা কোন অনির্বাচিত কাঠামোর’ প্রস্তাব করবে বলে মনে হচ্ছেনা।শেখ হাসিনার বিদায়ের পরই পরিবর্তিত পরিস্হিতির আলোকে তারা এ রুপরেখা বা কাঠামোর প্রস্তাব দেবে বা ঘোষনা করবে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী:
২০১১ সালে শেখ হাসনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নতুন ৭(ক)অনুচ্ছেদ সংযোজন করেন সংবিধানে। এতে বলা হয়-
”সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ
৭ক। (১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় -
(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে; কিংবা
(খ) এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে-
তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।
(২) কোন ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত-
(ক) কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে; কিংবা
(খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে-
তাহার এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।
(৩) এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(ENGLISH VERSION:
Offence of abrogation, suspension, etc . of the Constitution10[7A. (1) If any person, by show of force or use of force or by any other un-constitutional means-
(a) abrogates, repeals or suspends or attempts or conspires to abrogate, repeal or suspend this Constitution or any of its article ; or
(b) subverts or attempts or conspires to subvert the confidence, belief or reliance of the citizens to this Constitution or any of its article,
his such act shall be sedition and such person shall be guilty of sedition.
(2) If any person-
(a) abets or instigates any act mentioned in clause (1) ; or
(b) approves, condones, supports or ratifies such act,
his such act shall also be the same offence.
(3) Any person alleged to have committed the offence mentioned in this article shall be sentenced with the highest punishment prescribed for other offences by the existing laws.)"
প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা ও সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা -দুটিই গনতান্ত্রিক সরকার পদবদতি বা ব্যবস্থা
প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট জনগনের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন্। ফলে রাজপেথর শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের সরকারের পতন ঘটানো অনেকটাই সহজ হয় এবং অগনতান্ত্রিক বা অরাজনৈতিক শক্তি সহজেই শক্তি প্রযোগের মাধ্যমে এ পদ্ধতির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে।
সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্হায় সংসদে সরকারী দলের যতক্ষন পর্যন্ত মেজরিটি থাকবে ততক্ষন পর্যন্ত তাকে রাজপথের আন্দোলন দিয়ে সরানো যায়না-যদি সরকারী দলের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তশালী হয এবংএটা প্রমানীত সত্য ও বাস্তব।
তাই ধারনা করা হচ্ছে বিএনপি আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগ বা পতন নিশ্চিত করবে এবং এর পরেই হয়তো কেয়ারটেকার সরকারের ( যে নামেই হোক) রুপরেখা ঘোষনা করবে।
তবে ,যাই হোক,শান্তিপুর্ন আলোটনায় বিষযটি নিস্পত্তি না হলে এ লড়াই হবে উভয দলের জন্যেই “মরন লড়াই”।
https://www.youtube.com/watch?v=mu0_RkptklI
বিকে ডেস্ক:
লেখক পরিচিতি: লেখক সিনিয়র সাংবাদিক ও BANGALIRKHOBOR.COM-এর সম্পাদক এবং সংবিধান ও সংসদ বিশেষজ্ঞ হিসাবে লেখকের যথেস্ট খ্যাতি ও সুনাম রয়েছে।লেখক আমাদেরকে জানিয়েছেন-লেখাটির সাথে এর বেশী একটি বাক্য ও শব্দও যুক্ত করা লেখকের জন্যে বিপদজনক হতে পারে।