সংসদ ভঙ্গ হওযা বা এ্যাক্ট অফ গড ছাড়া নির্বাচন
বন্ধ করার ক্ষমতা এখন আর কারো নেই
-ম,ম,বাসেত
।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।
সংসদ ভঙ্গ হওয়া বা এ্যাক্ট অফ গড ( দৈব দুর্বিপাক ) ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা এখন আর কারো নেই।
তবে ,নির্বাচন কমিশন( ইসি) এই সংসদের ময়োদের মধ্যে থেকে ঘোষিত নির্বাচনী তফশিল পুননির্ধারন করতে পারবে বা তফশিলে
পরিবর্তন আনতে পারবে।
অতএব ,নির্বাচনী আইন ও বিধি-বিধানে যাই থাকুক বা ইসির যত ক্ষমতাই থাকুক না কেন-নির্বাচন বন্ধ করার কোন সুযোগ এখন আর নেই।
এই ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান সুস্পস্ট এবং এর কোন ব্যাখ্যারও প্রয়োজন নেই।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ :
“সপ্তম ভাগ
নির্বাচন
নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময়
১২৩। (১) রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে সংসদের দ্বারা তিনি নির্বাচিত হইয়াছেন সেই সংসদের মেয়াদকালে রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ হইলে সংসদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অনুরূপ শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে না, এবং অনুরূপ সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
(২) মৃত্যু, পদত্যাগ বা অপসারণের ফলে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার পর নব্বই দিনের মধ্যে, তাহা পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।]
**(৩) সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে
*(ক) মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নববই দিনের মধ্যে; এবং
*(খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নববই দিনের মধ্যে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।
(৪) সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদের কোন সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে 3[:
***-তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোন *দৈব-দূর্বিপাকের* কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।”
নির্বচান কমিশন এখন কি করতে পারবে?: নির্বাচন কমিশন এখন এই সংসদের মেয়াদের মধ্যে থেকে ঘোষিত তফশিল ( ভোট গ্রহনের দিন সহ) পুন নির্ধারন বা রদবদল করতে পারবে”।
্(আমার ব্যাখ্যা :১২৩ (৩(খ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত “কার্যভার গ্রহন” শব্দটির অর্থ হবে-শপথ গ্রহন।রাস্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষের আগেই নতুন রাস্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন-কিন্তু,মেযাদ শেষ হওযার পরই নতুন রাস্ট্রপতি শপথ গ্রহন করেছেন্। এখনে শপথ গ্রহনের অর্থ “কার্যভার গ্রহন”। প্রধান বিচারপতির মেয়াদ শেষ হওযার আগেই নতুন প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন-কিন্তু,তিনিও বিদায়ী প্রধান বিচারপতির মেযাদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহন করতে পারেননি। এখনেও “ শপথ গ্রহনের” অর্থ কার্যভার গ্রহন” এবং নতুন সংসদ ও সদস্যদের বেলায়ও এর ভিন্ন ব্যাখ্যার কোন সুযোগ নেই।এ দুটি ঘটনা অতি সাম্প্রতিক কালের।অতএব সাবধান-একটি সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়ার আগে আরেকটি সংসদ/ সংসদ সদস্যরা কোন অস্হাতেই শপথ গ্রহন করতে পারবেন না।শপথ গ্রহন না করলে ”কার্যভার গ্রহন” করা যায় না বা হয়না-বিষয়টা পানির মত স্বচ্ছ।অতীতে দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালতে এতদ বিষয়ক একটি মামলায় “ বাংলাদেশের এটর্নী জেনারেলের “ ভুমিকা ছিল দু:খজনক। কারো কারো মতে-তিনি ভুমিকা রেখেছিলেন “ সরকারের এটর্নি জেনারেলের “ মত-অথচ.তার সাংবিধানিক পদ-”বাংলাদেশের এটনী জেনারেল”।সংবিধানের ব্যাখ্যা দানের ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রকে সমর্থ ন করবেন-সরকারকে নয়। অভিযোগ রয়েছে-তিনি এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন)
বিকে ডেস্ক:
লেখক সিনিয়র সাংবাদিক,bangalirkhobor.com এর সম্পাদক এবং
সংবিধান ও সংসদ বিশেষগগ হিসাবে পরিচিত