National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি-বিকে ফটো গ্যালারী

সংবিধান লংঘন করে শপথ নেয়ায় ফেঁসে যাবেন অনেকেই-১৪৮(৩)অুনচ্ছেদের আলোকে শপথের সাথে সাথেই কার্যভার গৃহীত হওয়ায় ২টি সংসদ বহাল আছে এক সাথে-ক্ষমতাও হারাতে পারে সরকার :ম,ম,বাসেত

   ।। বিকে ডেস্ক।।  শুক্রবার | জানুয়ারি ১৯, ২০২৪ | ০১:৫৮ পিএম

সম্পাদকের কলাম:

*সংবিধান লংঘন করে শপথ নেয়ায় ফেঁসে যাবেন অনেকেই-*১৪৮(৩)অুনচ্ছেদের আলোকে শপথের সাথে সাথেই

কার্যভার গৃহীত হওয়ায় ২টি সংসদ বহাল আছে এক সাথে-*ক্ষমতাও হারাতে পারে সরকার :ম,ম,বাসেত

।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।

(১)সংবিধানের১২৩(৩)(খ) অনুৃচ্ছেদ লংঘন করে একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ অবসানের আগেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদেরকে শপথ গ্রহন করানোর কারনে ফেঁসে যাবেন অনেকেই এবং দুটি সংসদ সহ প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার অসাংবিধানিক হওয়ার আশংকা থাকায় ক্ষমতা হারানোরও সম্ভাবনা রয়েছে এবং অনেকেই হয়তো আইনগত প্রত্রিুয়ায**কঠোর শান্তিরও সন্মুখীন **হবেন।অন্যদিকে,দুটি সংসদের ৬০০ শর অধিক সদস্য একই সাথে দুটি সংসদের সদস্য পদে বহাল থাকা সম্পর্কিত কারো কারো বক্তব্য সঠিক নয় বলে এটনী জেনারেল ও আইনমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন-যা সংবিধানের ১৪৮(৩)..অনুচ্ছেদ ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধির আলোকে কোন অবস্হাতেই যথার্ত নয় ্এবং ভিত্তিহীন এবং বিষয়টি এখন দেশে বড় ধরনের সাংবিধানিক সংকট সৃস্টি করতে পারে।কারন,র্সবিধানের ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী **শপথ গ্রহনের সাথে সাথেই কার্যভারও গ্রহন হয়ে যাবে বা গেছে**।

(২))সাংবিধানিক সংকট সৃস্টির কারন:

একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ (২৯ জানুয়ারী )হওয়ার আগেই

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের তড়ি ঘড়ি করে শপথ গ্রহন করানোর কারনে কথিত সংকটটির সুত্রপাত। কারন সংবিধানের ১২৩ (৩)খে) অনুচ্ছেদের শর্তাংশে পরিস্কাভাবে বলা হয়ছে-বিদ্যমান সংসদের ( আলোচ্য ক্ষেত্রে একাদশ জাতীয় সংসদ) মেয়াদ অবসানের আগে নতুন সংসদের ( আলোচ্য ক্ষেত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) সদস্যরা **কার্যভার** গ্রহন করতে পারবেন না। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা **শপথ গ্রহনের মাধ্যমে** কায়ৃভার গ্রহন করে ফেলেছেন এবং সে করনে দুটি সংসদ সহ সরকার এখন অবৈধ-অসাংবিধানিক। কারন এমপি হিসাবে শপথ না নিলে প্রধান মন্ত্রী হওয়া যায়না ,মন্ত্রী সভা গঠন করা যাযনা বা সরকার গঠন করা যায়না্।

এই পুরো প্রত্রুযার সাথে যুক্ত রয়েছেন:

০স্পীকার ও সংসদ সচিব(সদস্যদের শপথ গ্রহন করানোর প্রত্রিুয়া সম্পন্ন করার দাযে)

০রাস্ট্রপতি+সামরিক সচিব , প্রধান মন্ত্রী ,মন্ত্রীগন ও কেবিনেট সচিব-শপথ গ্রহন কার্যত্রুমের সাথে সরাসরি যুক্ত ধাকার দায়ে)

আইনগত প্রত্রিুযায় সংবিধানের১২৩(৩) ও ১৪৮(৩) .অুনচ্ছেদ লংঘন করায় এরা সবাই ষংবিধানের ৭(ক).অনুচ্ছেদের বিধান মতে শাস্তির আওতায়ও এসে যেতে পারেন।আইনমন্ত্রী ও এটর্ন

জেনারেল ফেঁসে যেতে পারেন উদ্দেশ্যমুলক ব্যাখ্যার মাধ্যমে

অসাংবিধথানিক কাজের প্রতি অনুসমর্থন জানানোর কারনে।

*সংবিধানের অনুচ্ছেদ -১২৩(৩)(খ):

http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-957/section-30559.html

*সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ:

*http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-957/section-41499.html

(৩)আপত্তি-বিপত্তি,ব্যাখা ও পাল্টা ব্যাখা:

বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দূ হচ্ছে-**সংবিধানের ১২৩(৩)(ক)অনুচ্ছেদে উল্লেখিত **কার্যভার গ্রহন**শব্দ দুটিকে নিয়ে। সরকারের বিরোধী পক্ষ বলছেন-কার্যভার গ্রহন বলতে শপথ গ্রহনকে বুজাবে।একটি সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরেকটি সংসদের সদস্যরা শপথ গ্রহন করতে পারেননা।শপথ গ্রহনের কারনে এখন দটি সংসদ বা দুটি সংসদের ৩৩০+৩০০=৬০০ জন সদস্য এক সাথে বহাল রয়েছেন।

বাংলাদেশের এটনী জেনারেল ও আইনমন্ত্রীর কমন বক্তব্য হচ্ছে:তাদের এ কথা সত্য নয়।দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের শপথ গ্রহনের অর্থ হল ** কার্যভার গ্রহন** করা।তারা শপথ গ্রহন করেছেন ঠিকই -কিন্তু কার্যভার গ্রহন হবে সংসদের অধিবেশন শুরুর দিন থেকে। কারন দ্বাদশ,সংসদের অধিবেশন একাদশ সংসদের মেয়াদ অবসানের আগেতো শুরু হয়নি এবং শুরু না হওয়ার কারনে তারাতো এখনো**সংসদের কার্য়ভার** গ্রহন করেননি বা সংসদের কার্যত্রুমে অশ গ্রহন করছেন না।অতএব দুটি সংসদের ৬০০ শরও অধিক সদস্য একসাথে বহাল থাকার কথাটি সঠিক নয়।

*এটর্নী জেনারেলের বকতব্য:

https://www.youtube.com/watch?v=LgwnsANPpWg

*আইনমন্ত্রীর বক্তব্য:

https://bangalirkhobor.com/home/news_details?nid=7845...

সংবিধানে উল্লেখিত বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন শব্দের ব্যাখ্যা বা সংগা রয়েছে ১৫২..অনুচ্ছেদে এবং জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধিতে ঊল্লেখিত বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন শব্দের ব্যাখা রয়েছে বিধি.-২ তে। এর কোন জায়গা ‍বা বিধিতে *কার্যভার গ্রহন**শব্দ দুটির কোন সংগা নেই।আইনমন্ত্রী ও এটর্নি জেনারেলের ব্যাখ্যা তাদের নিজস্ব,কল্পনাপ্রসুত এবং সাংবিধানিক ও আইনগতভাবেই ভিত্তিহীন।

*সংবিধানে ঊল্লেখিত গুরুত্বপুর্ন শব্দসমুহের সংগা বা ব্যাখ্যা

http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-957/section-30629.html

*সংসদের কার্যপ্রনালীতে ঊল্রেখিত গুরুত্বপুর্ন শব্দসমুহের সংগা:

https://tidingsbd.com/.../06/Rules_of_Procedure_Bangla-1.pdf

(৪)সংবিধানের ১৪৮(৩)অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি সংসদের মেয়াদ অবসানের আগে আরেকটি সংসদের **সদস্যদের শপথ গ্রহন বা কার্যভার গ্রহন**যে অসাংবিধানিক ও বেআইনী তা একেবারেই পানির মত স্বচ্ছ ও সুস্পস্ট।

সংবিধানের অনুচ্ছে.১৪৮ (৩) :

একাদশ ভাগ

বিবিধ

“পদের শপথ

১৪৮। (১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভারগ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে "শপথ" বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিব।

(২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে 2[* * *] অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে।

২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি যে কোন কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।]

***(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে ***শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন** বলিয়া গণ্য হইবে।

অর্থ্যাত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের শপথ গ্রহনের সাথে সাথেই তাদের কার্যভার গ্রহনও হয়ে গেছে-অন্য কথায় “কার্যভার গ্রহনের অর্থ শপথ গ্রহন” বা শপথ গ্রহনের  অর্থ

 কার্যভার গ্রহন।

সংবিনের ১৪৮ (৩) এর বিধান চন্দ্র-সুর্য এবং দিন ও রাতের মত সুস্পস্ট ও বোধগম্য এবং কোন ব্যাখ্যারও প্রয়োজন নেই যে-দুটি সংসদ মারাত্বক ভুলের কারনে এখন একসাথে চলমান ও বিদ্যমান।

অতএব ,”কার্যভার গ্রহন” শব্দ দুটির ব্যাপারে এটনী জেনারেল ও আইনমন্ত্রীর ব্যাখ্যা একবারেই মনগড়া ,ভিত্তিহীন ,সংবিধান পরিপন্হী এবং সংবিধানের ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদের বিধানের সুস্পস্ট লংঘন।

যারা সংবিধান লংঘন করবেন **বিশেষ উদ্দেশ্য** নিয়ে তারা সংবিধানের ৭( ক) অনুচ্ছেদের আলোকে ক্যাপিটাল পানিসমেন্টের আওতায় আসবেন আইনগত প্রত্রিুয়ায।ক্যাপিটাল পানিসমেন্ট দুই প্রকার : যাবজ্ঝীবন কারাদন্ড ও মৃত্যুদন্ড।

অনুচ্চেদ ৭( ক ):

প্রথম ভাগ

প্রজাতন্ত্র

সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ

**[৭ক। (১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা *অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায়* -

(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে ; কিংবা

**(খ) এই সংবিধান বা ইহার *কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে*-

**তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।

(২) কোন ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত-

**(ক) কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে; কিংবা

**(খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে-

তাহার এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।

**(৩) এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

পরামর্শ:

বড় ধরনের এ সমস্যার প্রধান কারন তাড়াহুড়া করা। আরেকটি কারন সংবিধানের ১৪৮ (২)(ক)অনুচ্ছেদে উল্লেখিত *ফলাফল গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার *তিনদিনের মধ্যে* এমপিদের শপথ গ্রহন করানোর বিধান। এ বিধানটি তুলে দিলে সংসদের মেয়াদ অবসানের সময় সীমার দিকে খেয়াল রেখে নির্বাচন কমিশন ফলাফল গেজেটে প্রকাশ করবে ও শপথ গ্রহনের দিন বিদ্যমান সংসদের মেয়াদ অবসানের দিকে খেয়াল রেখে নির্ধারন করা যাবে বা স্পীকার নির্ধরান করতে পারবেন।এ সব ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা হয় অনর্থক এবং ধারনা করা হয়-বুদ্ধিদাতারা উদ্দেশ্য নিয়েই এ সব কাজ করেন বা ক্ষমতাশীনদেরকে দিয়ে করান।আর ক্ষমতাশীনরা নিজের ভুলের জন্যে দোষ চাপেন কখনো দেশের ভেতরের আবার কখনো দেশের বাইরের অদৃশ্য শক্তির ওপর।

( এটি একটি একাডেমিক বিষয়-এই বিষয়ের মতামতের সাথে দ্বিমত পোষন করার অধিকার সবার রয়েছে )

বিকে ডেস্ক:

লেখক সিনিয়র সাংবাদিক .bangalirkhobr.com-সম্পাদক এবং সংসদ ও সংবিধান বিশষগগ হিসাবে পরিচিত