সংসদ বিলুপ্ত হয়না-ভঙ্গ হয় :ম,ম,বাসেত
।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।
(১)সংসদ ভঙ্গ হয় বা ভেঙ্গে দেয়া হয়-সংসদ বিলুপ্ত হয় না বা বিলুপ্ত করা যায় না।
(২)সংসদের বৈঠকে অনাস্হা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভোটিতে সরকারী দল হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙ্গে দিতে রাস্ট্রপতিকে অনুরোধ করলে রাস্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে আবার নতুন সংসদ গঠিত হয়।
(৩) মেয়াদ অবসানের কারনে সংসদ স্বয়ংত্রিুয়ভাবে ভেঙ্গে যায় এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংসদ গঠিত হয়-এটাকেও বিলুপ্তি বলেনা-সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধি অনুযায়ী সংসদীয় পরিভাষায় এটাকেও বলে**সংসদ ভঙ্গ হওয়া**।
(৪)নির্বাচনের মাধ্যম ফলাফল গেজেটে প্রকাশের পর সংসদ গঠিত হয়ে যায়।রাস্ট্রপতি বিদ্যমান সংসদের মেয়াদ অবসানের ১৪/১৫ দিন আগেই(সাধারনত) মেয়াদ অবসানের পরের দিন বিকেলে বা সন্ধ্যায় নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন আহবান করেন। ঔদিন সকালে সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহন করেন এবং সাথে সাথেই তাদের কার্যভার গ্রহন হয়ে যায়( সংবিধানের ১৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)। বিকেলে বা সন্ধ্যায় তারা অধিবেশনে যোগদান করেন এবং তখন থেকেই নতুন সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শুরু হয়ে যায়।সংসদ সদস্যদের শপথ গ্র্রহনের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা শপথ নেন প্রথম দিবসের যে কোন সময়ে এবং নতুন সরকারেরও পাঁচ বছরর মেয়াদও শুরু হয়ে যায় তখন থেকেই।
(৫)বিদ্যমান সংসদের মেয়াদ শেষ না হলে নতুন সংসদের সদস্যরা বা নতুন প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা শপথ নিতে পারেন না-সংবিধানের ১২৩(৩)(খ) অনুচ্ছেদে বিধি-নিষেধ থাকার কারনে।
(৬)২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এভাবেই ছিল ও হত এবং সঠিক ছিল। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর **এক অজ্ঞাত **কারনে শপথ গ্রহন বিষযক সংবিধানের বিধানাবলী লংঘন শুরু হয় এবং ধারনা করা হয়-এটা এক ব্যক্তির ইচ্ছা বা মর্জির কারনে।
(৭)সংবিধানের একটা অনুচ্ছেদ পড়ে *সংসদ বিষয়ক কার্যত্রুমের ব্যাপারে** সংবিধান ব্যাখ্যা করা যায়না বা যাবেনা-সংসদ বিষয়ক কার্যত্রুমের ব্যাপারে ব্যাখ্যা করতে হলে সংবিধানের এতদবিষয়ক পুরো স্কীম এবং জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধি ও সংসদীয় প্রাকটিস সম্পর্কে ব্যাপক বাস্তব ভিত্তিক ধারনা থাকতে হরে।
(৮) সংবিধানের বাংলা ভার্সনের সাথে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধিতে কি আছে-তাও দেখতে হবে(আলোচ্য ক্ষেত্রে বিধি-৪ প্রযোজ্য)।
(৯)ইংরেজী dissolution-এর ্আভিধানিক অর্থ নয়--সংসদীয় পরিভাষাগত অর্থ দেখতে হবে-যা রয়েছে সংবিধানের বাংলা ভার্সন(সংবিধানের ১৫৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য ভার্সন)ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধিতে।
(১০) বিদ্যমান সংসদের (একাদশ সংসদ) মেয়াদ শেষ হবে ২৯ জানুয়ারী-তার আগে নতুন সংসদের ( দ্বাদশ সংসদ) সদস্যরা শপথ নেয় কি করে?নতুন প্রধানমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হয় কিভাবে?এটা কোন সংসদের মেয়াদকালীন সরকার/প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী সভা?
(১১)সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদের আলোকে আইনগত প্রত্রিুয়ায় গর্দ্দান যেতে পারে সংম্লিস্ট সবার বা অনেকের-সংবিধানের মারাত্বক লংঘনজনিত কারনে।সংবিধানে ৭(ক) যুক্তও করেছে শেখ হাসিনার সরকা্র
(১২)বহুবার এ সব বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এখানে ।
**জাতীয় সংসদের কার্যপ্রনালী বিধি
বিকে ডেস্ক:
লেখক সিনিয়র সাংবাদিক. bangalirkhobor.com এর সম্পাদক এবং সংসদ ও সংবিধান বিশেষগগ হিসাবে পরিচিত