বাংলাদেশ ব্যাংকয়ের সিদ্ধান্ত
প্রত্যাহার হওযা দরকার
-ম,ম,বাসেত
।। মো:মাহবুবুল বাসেত ।।
পেশাগত কাজে কোন সাংবাদিককে কোন প্রতিষ্ঠানে ( ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ছাড়া ) প্রবেশ করতে না দেয়া বা বিধি নিষেধ আরোপের ক্ষমতা কারো নেই এমন কি আদালতেরও না।
বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা স্হাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরনের কথা বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে দায়িত্ব পালন করায় বা আচার আচরনে ও কর্মতৎপরতায় ব্যাংকটিকে সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করায় সাংবাদিকদের কাছে
প্রতিষ্ঠানটি অতিব গুরুত্বপুর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে অনেকদিন থেকেই।
কিন্তু,বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তপক্ষের সাম্প্রতিক একটি সিদ্ধান্ত আমাদের জন্যেও পেশাগত কারনে মানসিক পীড়ার কারন হয়ে দাড়িয়েছে-দ্রুত যার অবসান হওয়া দরকার।
সারা পৃথিবীর তথ্য মন্ত্রনালয়গুলো বিশেষ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় নির্বিঘ্নে প্রবেশের জন্য সাংবাদিকদেরকে” এত্রিুডিটেশন কার্ড “ দিয়ে থাকেন- যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কার্ডধারী সাংবাদিকদেরকে পেশাগত কাজে সহযোগিতা করার লিখিত অনুরোধের কথা কার্ডের গায়েই লেখা থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বড়জোর নিয়ম করতে পারেন- শুধুমাত্র “ এত্রিুডিটেশন কার্ডধারী” সাংবাদিকরাই খাতায় এন্ট্রি করে বা কার্ড দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন।
কিন্তু বিধি নিষেধ আরোপ করা মানেইতো হল- অবাধ তথ্য প্রবাহ প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতার সৃস্টি করা।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এটি প্রত্যাহার না করলে আমরা ধরে নেব-সরকার নানা কৌশলে মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ভেতর ও বাইরের দীঘদিনের এই ধরনের অভিযোগ সঠিক।
কারন ,ইতমধ্যেই একজন মন্ত্রীর ”বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের কি কাজ” মর্মে উচ্চারিত বক্তব্যে- মিডিয়া নিয়ন্ত্রনে সরকারের সংশ্লিস্টতার আভাষ পাওয়া গেছে-যা অনভিপ্রেত।
বাংলাদেশ ব্যাংকয়ের গভর্নরের প্রতি অনুরোধ- পেশাদরিত্বের আলোকে পেশাগত দিক বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে নিন।
আপনার এই সিদ্ধান্তে সরকারও নাজুক অবস্হায় পড়বে এবং সাংবাদিকরাও বিষযটিকে সহজভাবে ছাড়বে না এবং আমিতো নয়ই।
কলম চলবে নিষ্ঠুর ও নির্দয়ভাবে।