তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, সুইস ব্যাংক আমানতের তথ্য প্রকাশ করছে, এটি পাচারের একটি অংশ।
আর পাচারের অধিকাংশই কালোটাকা। ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যাংক থেকে অর্থ লুট, জালিয়াতি এবং বিভিন্ন অসৎ উপায়ে অর্জিত টাকা পাচার হচ্ছে। তবে অর্থ পাচারের অধিকাংশই বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে।
আর বিনিয়োগ না হওয়ায় দেশ থেকে এ অর্থ পাচার হচ্ছে। তিনি বলেন, কানাডায় বেগমপাড়া এবং মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমসহ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আসছে, সবই পাচারের টাকা। এক্ষেত্রে সরকারি সংস্থার দুর্বল নজরদারি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সহায়তা পাচ্ছে পাচারকারীরা। পরে কিছু টাকা রেমিট্যান্স আকারে ফিরে আসছে।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, দেশের মোট বিনিয়োগের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। কিন্তু গত কয়েক বছরে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কমছে। তার মতে, বিনিয়োগের পরিবেশ নেই, আর এ কারণেই টাকা পাচার হচ্ছে। এছাড়া অনেকেই এদেশে টাকা রাখতে নিরাপদ মনে করেন না।
এছাড়াও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা দেশে রাখা কঠিন। ফলে টাকা বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, টাকা কারা পাচার করছে, সবার আগে তা চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ একবার বিদেশে টাকা গেলে, তা ফেরত আনা খুব কঠিন। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের টাকা তার বড় প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, সরকার তার ভাবমূর্তি হারানোর ভয়ে তথ্য লুকিয়ে রাখে। কিন্তু এগুলো করে লাভ হয় না। কারণ ভাবমূর্তি শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয় না। মির্জ্জা আজিজ বলেন, টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সরকারি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে থেকে যোগাযোগ করতে হবে।