৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রকাশিত ফলে নবম থেকে ১২তম গ্রেডের বিভিন্ন পদে ৩ হাজার ৬৫৭ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পিএসসির ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চের শেষ দিকে ৪০তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা গত বছরের নভেম্বরে যোগ দিলেও নানা জটিলতায় এতদিন নন-ক্যাডার পদের ফল আটকে ছিল। ৪০তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি- এমন প্রার্থীদের মধ্যে যারা নন-ক্যাডার হিসেবে চাকরি করতে আগ্রহী, তাদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন চায় পিএসসি।
প্রথম দফায় আবেদন শেষ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) অথবা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর ১৫৬টি পদে নিয়োগে জটিলতা দেখা দিলে তা বাদ রেখে গত ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফের আবেদন করতে বলে পিএসসি। ওই সময়ের মধ্যে মোট ৬ হাজার ২০০টি আবেদন পড়ে বলে জানায় পিএসসি।
সেটি শেষ হয় গেল ৭ সেপ্টেম্বর। পিএসসির এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি— এমন ৮ হাজার ১৬৬ প্রার্থীর মধ্যে যারা ৯ম, ১০ম, ১১তম ও ১২তম গ্রেডের নন-ক্যাডার পদে চাকরি করতে চান, তারা আবেদন করতে পারবেন।
তবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী (পুর)/উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর ১৫৬টি পদে পছন্দক্রম চায়নি পিএসসি।
জানা যায়, পিএসসি সূত্রে জানা যায়, ৪০তম বিসিএসে ৪ হাজার ৪৭৮টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান ছিল। এর মধ্যে ১৫৬টি পদে এলজিইডিতে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ১৫৬টি পদ প্রত্যাহার চেয়ে পিএসসির কাছে আবেদন করে।
তখন এলজিইডিতে সুপারিশ পাওয়া ২২ জন এলজিইডির ১৫৬টি পদ প্রত্যাহার চেয়ে পিএসসির কাছে করা আবেদন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই আবেদন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। এরফলে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদের সবার নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে যায়।