বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)অবশেষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। এতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৯২ জন এবং নারী ৮ হাজার ৮৮২ জন। আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে।
বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৯২ জন এবং নারী ৮ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে নারী কোটায় সুপারিশ পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭৬ জন।
সুপারিশ প্রকাশের বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএস জানায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন ৩২ হাজার ৪৮০ প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে ২৭ হাজার ৭৪ জনকে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভি-আর ফরম জমা দেননি। এ জন্য তারা বাদ পড়েছেন। প্রাথমিক নির্বাচিত অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনকে জাল সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা, বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা, নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করায়, মামলার স্থগিতাদেশ থাকার কারণে নিযোগে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সুপারিশ পাওয়া ২৭ হাজার ৭৪ প্রার্থীর মধ্যে কলেজ ও স্কুলে যোগদান করতে পারবেন ১৩ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষক। এছাড়া মাদরাসায় ১১ হাজার ২৭৯ জন, কারিগরিতে ৫১৬ জন, সংযুক্ত স্কুলে ১ হাজার ৫৮৩ জন এবং সংযুক্ত মাদরাসায় ৬২১ জন যোগদান করবেন।
অন্যদিকে, রাতেই সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে এনটিআরসিএ। এছাড়া ফলাফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট পাওয়া যাচ্ছে। এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রার্থীরা সুপারিশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। এ সুপারিশপত্র প্রিন্ট করে প্রার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে যোগদান করতে হবে।
সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যোগদানে বাধা বা ভয়-ভীতি দেখালে এনটিআরসিএসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে বলেও জানিয়েছে এনটিআরসিএ।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।