National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন খামেনি

  ।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।   বুধবার | ডিসেম্বর ১১, ২০২৪ | ০৯:৩৮ পিএম

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন।

একই সঙ্গে তিনি প্রতিবেশী দেশ তুরস্কের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।  

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিমের এক প্রতিবেদনে আয়াতুল্লাহ খামেনির বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, সিরিয়ার যা ঘটেছে, তা এক যৌথ মার্কিন-জায়নিস্ট পরিকল্পনার ফল। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

খামেনি আরও বলেন, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী সরকার স্পষ্টতই ভূমিকা রেখেছে, এখনো রাখছে। সবাই এটি দেখছে। তবে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী এবং নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হলো আমেরিকা এবং জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠী। 

তিনি জানান, এ বিষয়ে ইরানের হাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। খামেনি বলেন, আমাদের কাছে এমন প্রমাণ রয়েছে, যা এই বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ রাখে না।  

বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর ইরান একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। খামেনির সর্বশেষ মন্তব্যে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। 

সিরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র ইরান এই রাজনৈতিক সংকটকে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে অভিহিত করেছে।

উল্লেখ্য, ইরান সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থনকারী ছিল। ২০১১ সালে যখন আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয় তখন ইরান অস্ত্র ও সেনা পাঠিয়ে সেই বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করে। বাশার আল আসাদের পতনের কয়েকদিন আগে কাতারের দোহা ফোরামে এক বৈঠকে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার বিরোধীদের যুদ্ধ বন্ধ করে সিরিয়াকে একটি ঐক্যবদ্ধ ও অখণ্ড দেশ হিসেবে টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছিল।

এ বছরের শুরুতে আসাদ ঘোষণা করেছিলেন, যতক্ষণ তুরস্কের সেনারা সিরিয়ায় থাকবে, তিনি তুরস্কের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবেন না। এরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত মাসে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আলেপ্পো ও হোমস শহরে আক্রমণের জন্য পরোক্ষ সম্মতি দেন।