National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

সিরিয়ায় আসাদের পিতা হাফিজ আল আসাদের সমাধিতে আগুন

  ।।বিকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।  বৃহস্পতিবার | ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ | ১১:০৫ এএম

বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হাতে দীর্ঘ স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর  আসাদের বাবা হাফিজ আল আসাদের সমাধিতে আগুন দিয়েছে বিদ্রোহীরা।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রচারিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় সশস্ত্র যোদ্ধাদের দেয়া আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে হাফিজ আল আসাদের কবর। পূর্বাঞ্চলীয় লাতাকিয়ায় অবস্থিত তার সমাধিতে বিদ্রোহী যোদ্ধারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

পলাতক সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশে এতটাই ঘৃণা অর্জন করেছেন যে, সেই ঘৃণার আগুনে শেষ পর্যন্ত পুড়তে হলো তার পিতার সমাধিকে। এ সময় তা ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল সশস্ত্র বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, পশ্চিম সিরিয়ার লাতাকিয়া প্রদেশে বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের সমাধিতে আগুন জ্বলছে।

আরও দেখা যায় তার কবর ও সমাধিক্ষেত্রের বড় অংশই পুড়ে গেছে। সেখান থেকে একটি কফিন টেনে বাইরে নিয়ে যায় তারা। তারপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এটি হাফিজ আল আসাদের কফিন কিনা তা নিশ্চিত নয়। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে মারা যান হাফিজ আল আসাদ।

এর আগে দামেস্কে আসাদের বাসভবনে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় সাধারণ জনতা।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মোহাম্মাদ আল-বশিরকে। তিনি আসাদ সরকারের পতনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন। এক টেলিভিশন ভাষণে মোহাম্মাদ আল-বশির জানিয়েছেন, ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রসংগত, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লাখ লাখ নাগরিক প্রতিবেশীগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল। বিশেষ করে তুরস্ক ও লেবাননে। ইউরোপের দেশগুলোতেও বিপুল সংখ্যক সিরিয়ার নাগরিক শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ।

তবে বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করেছে। সাধারণ নাগরিকরা রাস্তায় বেরিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছেন। আসাদ পালিয়ে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে যেসব নাগরিকরা প্রতিবেশী তুরস্ক ও লেবাননে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা এখন ফিরতে শুরু করেছেন।