ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের শীর্ষ নেতা ফ্রাঙ্কোইস বায়রো।
শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর বায়রোকে ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বার্তা সংস্থা রয়াটার্স এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। তার বিদায়ের এক সপ্তাহের মাথায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফ্রাঙ্কোইস বায়রো’র নাম ঘোষণা করলেন ম্যাক্রোঁ। বায়রো অবশ্য আগে থেকেই ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের শাসনব্যবস্থা প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী— উভয়ের ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
ক্ষমতা গ্রহণের পর ৭৩ বছর বয়সী নতুন প্রধানমন্ত্রী বায়রোর প্রথম কাজ হবে ২০২৪ সালে পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত বাজেটের পথ সুগম করার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়ন করা।
মূলত এই ইস্যুটি নিয়ে পার্লামেন্টে সরকারি ও বিরোধী এমপিদের অনাকাঙ্ক্ষিত লড়াই ও টানাপোড়েনের জেরেই বিদায় নিতে হয়েছে বার্নিয়েকে।
মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত বায়রো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইন প্রণেতারা। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে কট্টর ডানপন্থি, বামপন্থি এবং মধ্যপন্থী— সব দলের আইনপ্রণেতারা রয়েছেন।
ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি দল হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) প্রেসিডেন্ট জর্ডান বারডেল্লা রয়টার্সকে বলেন, আপাতত বায়রোর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কোনো পরিকল্পনা দলের নেই। আরএনের জ্যেষ্ঠ নেত্রী এবং পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা ম্যারিন লা পেন জানিয়েছেন, বায়রোর উচিত হবে বাজেট ইস্যুতে বিরোধীদের বক্তব্য শোনা।
এদিকে ফ্রান্সের বামপন্থি নেতা ফ্যাবিয়েন রৌসেল বলেছেন, বায়রোকে অবশ্যই বাজেট সংক্রান্ত বিশেষ আইন শিগগরই পাস করতে হবে। যদি তিনি এতে বিলম্ব করেন, তাহলে বামপন্থিরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স