সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সুফি দরগাহ ও মাজারে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে সরকার।এবং সুফি মাজার এবং দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনার ওপর হামলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দুর্বৃত্ত দেশের সুফি দরগাহ এবং মাজারে হামলা চালিয়েছে, যা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যে কোনো ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা ও সুফি দরগাহের হামলার কঠোর নিন্দা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সবসময়ই ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য পরিচিত। বাংলাদেশ হাজার হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সকল ধর্ম-বিশ্বাসী মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ। আমরা সব ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করব। যেকোনো ধরনের ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহনশীলতা নষ্টের প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্মীয় উপাসনালয় এবং সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য দ্রুত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন হামলা প্রতিরোধ করা যায়। এবং হামলায় জড়িত অশুভ চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রীতি বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়, আমরা বাংলাদেশকে এই সৌহার্দপূর্ণ সম্প্রীতির দেশ হিসেবে রাখব এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতি বিঘিœত করার যেকোনো চেষ্টা সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করবে।
সরকারের এই কঠোর অবস্থানের ফলে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানানো হচ্ছে, এবং সাধারণ মানুষও সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।