দেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরী সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে আগামী ১৭ জুন।
শুক্রবার ৭ মে রাত ৯ টা ২২ মিনিটে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সব জেলা প্রশাসক ও ইসলামি ফাউন্ডেশন কেন্দ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সব জায়গা থেকে খবর পাওয়া যায়— শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসেবে আগামী ১৭ জুন দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। আমি সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক জানাই।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুসহ সব মহামারি থেকে যেন আল্লাহ আমাদের রক্ষা করে, সেই দোয়া চাই।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদ দেখা যাওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক জায়গায় আকাশ মেঘলা থাকায় চাঁদ দেখা যায়নি। রংপুর বিভাগ পীরগাছা উপজেলা ইটা কুমারী এলাকায় চাঁদ দেখা গিয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, সেখানে আমাদের ইসলামী ফাউন্ডেশনের লোকজনের উপস্থিতিতে চাঁদ দেখা গিয়েছে। তিনজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে চাঁদ দেখা যায়। পবিত্র কোরআন আলোকে এটি বৈধ ও বাস্তবসম্মত।
প্রতিবছর হিজরি বর্ষপঞ্জির জিলহজ মাসের ১০ তারিখ মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। এদিন সারা দেশে মুসলমানরা মহান আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি করেন। ত্যাগের মহিমায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও দিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, হে ইমানদাররা! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য জমিন থেকে যা বের করেছি তার অংশ ব্যয় করো’ (বাকারাহ ২৬৭)।
ইসলাম ধর্মমতে, নবী ইবরাহীম (আ.), তার স্ত্রী হাজেরা ও ছেলে ইসমাইলের ত্যাগের স্মৃতিবিজড়িত উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মানুষ পশু কোরবানি দেয়। কোরআনে আল্লাহ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
পবিত্র ঈদুল আজহায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলিমরা গরু, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, উট প্রভৃতি কোরবানি করেন।