পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতায় আজ ‘আরাফাত দিবস’।
শনিবার ১৫ জুন সৌদি আরবের মক্কার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০ লাখ মানুষ।
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মূখরিত আরাফার প্রান্তর। মক্কা থেকে পাঁচ থেকে আট কিলোমিটার পূর্বে মিনায় তাঁবুতে অবস্থান করেন হজযাত্রীরা। সেখানে ইবাদত বন্দেগিতে দিন ও রাত পার করেছেন তারা। সেখান থেকে আজ ভোরে তারা আল্লাহকে কাছে পাওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষায় ছুটে যাচ্ছেন আরাফাতের ময়দানে।
মুখে মুহুর্মুহু উচ্চারণ করছেন—‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’। এর বাংলা অর্থ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’।
এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর থাকবে পাহাড়েঘেরা এ প্রান্তর। এখানকার জাবালে রহমতে দাঁড়িয়ে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
শুরু হয়েছে পবিত্র হজের খুতবা। এবার আরাফাত ময়দানের নামিরাহ মসজিদ থেকে হজের খুতবা দিচ্ছেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। খুতবা দেওয়ার আগে আরাফাতের ময়দানের নামিরাহ মসজিদে জোহর নামাজের বিশাল জামাতে ইমামতি করেন তিনি।
হজের মূল আরবি খুতবার সঙ্গে বাংলাসহ বিশ্বের ৫০ টি ভাষায় এর অনুবাদ সরাসরি প্রচারিত হচ্ছে।
বাংলায় খুতবা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অবস্থান করা চার বাংলাদেশি—মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কি ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নাজমুস সাকিব।
বাংলায় হজের খুতবা শোনা যাবে মানারাতুল হারামাইন ওয়েবসাইট ও তাদের মোবাইল অ্যাপে। ওয়েবসাইট লিঙ্ক হলো : https://manaratalharamain.gov.sa/arafa/arafa_sermon/bn