ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে লজিস্টিক সহায়তা এবং বিশেষজ্ঞ জনবল প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
সোমবার ৩ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বৈঠকে তারা পারস্পরিক সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন বাস্তবায়ন এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বশির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ আইএলও কনভেনশনকে পুরোপুরি সম্মান করে এবং কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য দেশটির একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। তাদের অধিকাংশই যুবসমাজ। আমাদের লক্ষ্য হলো তাদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা এবং যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা।
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে কাজ করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে। এছাড়া সরকার দাম কমাতে অনেক পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়েছে।
মাইকেল মিলার বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হলে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র-বাসস।