নতুন নোট ছাপানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী নতুন নোটে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালির ঐতিহ্য ও ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’ ছবি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রচলিত টাকায় বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
রবিবার ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৩৮তম বোর্ড সভায় নকশা পরিবর্তনের বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা।
তিনি জানান, সব ঠিক থাকলে আগামী ঈদুল আজহার আগে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিযুক্ত নোট বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নতুন টাকা ছাপাতে আমাদের কাজ চলছে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজটি করবে দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মুদ্রণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রেখে দেওয়া হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বাজারে ছাড়া হয়। প্রিন্ট টাকা বাজারে না ছাড়লে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি সার্কুলেশন প্রতিবেদনে যোগ করা হয় ভল্টের টাকা।
হুসনে আরা শিখা বলেন, বোর্ডে এবি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের জরিমানা মওকুফের বিষয় ওঠানো হয় কিন্তু অনুমোদন করা হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারার ১১ উপ-ধারা অনুযায়ী জরিমানা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। সাধারণত ৩ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
সভায় সীমান্ত ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের সময়সীমা চলতি বছরের ডিসেম্বরের পরিবর্তে জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশের ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুই পাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে। আগামীতে নোট ছাপানোর সময় এ ছবি বাদ দেওয়া হবে