বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর রাতে এক ফেসবুকে পোস্টে রংপুরে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটি কারো অজানা নয় যে, আইসিটি আইনে ইতোমধ্যেই অনেকগুলো মামলা রুজু হয়েছে, শেখ হাসিনাসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন কার্যক্রম নির্ভর করবে এসব মামলা সুরাহার ওপর। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে, যা অনাকাঙ্খিত।
ফেসবুকে পোস্টে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে’র উদ্যোগে অংশীজনের সঙ্গে এক সফল সংলাপের পর স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ভবিষ্যতের নির্বাচন সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চান।
আমি বলেছি যে, আমাদের কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন-কানুন ও বিধি-বিধান সংস্কারের প্রস্তাব করবে। আমি আরও বলেছি, ভবিষ্যতে আইন-কানুন মেনে প্রস্তুত হয়ে নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করতে পারবে তাদের ব্যাপারে আমি কোনো বাধা দেখছি না। এছাড়াও এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয়।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও প্রাণহানির বিনিময়ে গত ৫ আগস্ট এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে।
এ লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে আমিও নানানভাবে ভূমিকা রেখেছি এবং এ জন্য নানাভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়েছি। কিন্তু আমার বক্তব্যের ভূল ব্যাখ্যা প্রচার আমাকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে।
আমি মনে করি, এ ধরনের অপপ্রচার শহিদ আবু সাঈদ ও শহিদ মুগ্ধের রক্তকে অস্বীকার করার শামিল।