আমরা কোনো নেতাকর্মীদের অ্যারেস্ট করিনি, যারা সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত, যাদের চেহারা সিসিটিভির ফুটেজে উঠেছে তাদেরকে অ্যারেস্ট করেছি। যারা ক্রিমিনাল, তাদেরকে অ্যারেস্ট করেছি। রাজনৈতিক কারণে কেউ অ্যারেস্ট হয়নি- বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার ২৭ ডিসেম্বর রাতে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়ের বাসভবন হাফিজ কমপ্লেক্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে আমাদের কী পরিকল্পনা, আওয়ামী লীগের আজকের নির্বাচনী ইশতেহারে কী কী আছে সেই সব বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। সেগুলো তাদের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন চাই।
মন্ত্রী জানান, তিনি ইইউ পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিদের বলেছেন, কিছুদিন আগে এখানকার মেয়র ছিলেন বিএনপির। তার সাথে আমরা কখনো কোনো বাজে ব্যবহার করিনি। আমার সরকার শেখ হাসিনার সরকার। সব সময় সাহায্য করেছে। কারণ দেশের যদি উন্নয়ন হয় কে কোন দল করল সেটি কোনো বিষয় নয়। শেখ হাসিনা চান এদেশের মঙ্গল। সুতরাং বিএনপি নেতা করল না কি আওয়ামী লীগ করল সেটা বিষয় না। এটাই শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা দরকার তা করেছি। আগে বিএনপির সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল। এখন আমরা তা বায়োমেট্রিক করেছি। এবার কোনো ভুয়া ভোট হবে না। এ বছর আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। সবাই দেখবে কত ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় আমরা একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। যারা নির্বাচনের সময় সব দায়িত্ব পালন করবেন।
ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রেবেকা কক্স ও মিডিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ শার্লোট সুয়েবেস।
এর আগে দুপুরে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের এই দুই সদস্য সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী অংশ নেন।