হোম সার্ভিসের কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে বিউটি পার্লারের এক বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক আজ বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুপুর ২টায় এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
অনলাইনে অর্ডার পেয়ে বাসায় বাসায় গিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করতেন এক নারী (২৫)। ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এমনই এক কল পেয়ে সেখানে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ এ ধর্ষণে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বুধবার ভুক্তভোগী নারীর বড় ভাই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে অর্ডার পেলে বাসায় গিয়ে মেয়েদের বিউটি পার্লারের কাজ করে দেয় আমার বোন। মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডি থেকে এক নারী তার পার্লারের কাজ করানোর জন্য ফোন দেন। পরে সাভার থেকে রাইড শেয়ারিংয়ে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের কাছে এলে ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে আমার বোনকে রিসিভ করান। এরপর ওই বাসার দোতলায় নিয়ে একটি রুমের ভেতরে তাকে ঢোকানো হয়। এ সময় পার্লারের কাজ করানোর কথা বলা ওই নারী টাকার বিনিময়ে তিনজন পুরুষের কাছে আমার বোনকে দিয়ে যান। অভিযুক্তদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে।’
ভুক্তভোগীর বড় ভাই আরও বলেন, ‘তিনজন পুরুষ আমার বোনকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করে। খেতে না চাইলে মারধর করে। পরে জোর করে তিনজন ধর্ষণ করে তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ সময় হুমকি দিয়ে বলা হয়, এখান থেকে চলে যাবি; অন্যথায় তোকে মেরে ফেলব। এ সময় আমার বোন প্রাণভিক্ষা চেয়ে এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার আকুতি প্রকাশ করে বলে, আমার কাছে ভাড়া নেই, ১০০ টাকা দেন চলে যাব। বাসা থেকে অনেক কষ্টে নিচে নেমে রাস্তায় এলেও অভিযুক্তরা রাস্তায় এসেও হুমকি দিয়ে বলে, সোজা বাসায় চলে যাবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন ঘটনাস্থল থেকে রিকশা নিয়ে গাবতলী পর্যন্ত আসে। তার স্বামীকে ফোন দিলে গাবতলী থেকে বোনকে নিয়ে সাভারে যায়।’
সাভার থেকে বুধবার ভোর ৫টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।