পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেলপথে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ বা ‘গ্যাংকার’ ট্রেন পরীক্ষা সফল হয়েছে।
মঙ্গলবার ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ছেড়ে আসে। এবং মোট ৩২ কিলোমিটার পথের মাঝে চার কিলোমিটার পাথরবিহীন এবং ২৮ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টার দিকে পদ্মা সেতুর পদ্মা সেতুর দক্ষিণে জাজিরার ভায়াডাক্টে পৌঁছায়। মাঝপথে কয়েকটি স্থানে বিরতি নেওয়া হয় ।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মাওয়া-ভাঙ্গা (সেকশন-২) অংশের স্টেশন ইনচার্জ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন এবং সেনাবাহিনীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মেজর জেনারেল এস এম জাহিদ আফজাল, পিডি বি. জে. সাইফ, বি. জে. মাহবুব, ডিসিসি ও আবুল কালাম আজাদ, সিআরইসির প্রকৌশলী মো. জহুরুল হক গ্যাংকারে ছিলেন।
তিনি জানান, ৩২ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছিল। আজ চীনা তৈরি একটি গ্যাঙ্কার ট্রেন পরীক্ষামূলক চালানো হয়। পরীক্ষামূলক হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে কখনো উচ্চগতিতে কারটি চালানো হয়েছে। কয়েকটি স্থানে বিরতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ পথে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। আজকের পরীক্ষা কার্যক্রম সফল হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে অনেক আগেই। এবার অপেক্ষা সেতুর নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচলের। অবশেষে সেই অপেক্ষারও শেষ হতে যাচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। পদ্মা সেতুর নিচতলায় রেললাইন বসানোর জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে সতর্কতার সঙ্গে। সেতুতে রেললাইন বসানোর পরই সেতু অতিক্রম করবে ট্রেন। পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকৌশলীরা।
রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললিঙ্ক প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে ২০২৩ সালের ২৫ জুন।