সেপ্টেম্বরে ২ তারিখে খুলে দেয়া হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতিক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন।
রবিবার ২০ আগস্ট দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাড়ে ১১ কিলোমিটার, কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে।
রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ খুলে দেয়া হলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। এরই মধ্যেই এই অংশের নির্মাণকাজের ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ একেবারেই শেষপর্যায়ে রয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প।শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এই প্রকল্প।
রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য এটিই হচ্ছে সরকার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে বড় প্রকল্প।সংযোগ সড়ক সহ এটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এবং ব্যয় হবে ৳১২২ বিলিয়ন টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মানের জন্য ইতাল-থাই ডেভোলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড $১.০৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে চায়না রেলওয়ে কন্সট্রাকসন কর্পোরেশন এর সঙ্গে।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) তিন ধাপে উড়াল সড়ক প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে- যা জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মতো টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা যাবে। তবে এই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তাই থ্র্রি-হুইলার অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও তিন চাকার কোনো যানবাহন এই এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে ১১টি টোলপ্লাজা থাকবে, যার পাঁচটিই এক্সপ্রেসওয়ের উপরে। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর আশপাশে যানবাহন চলাচল সহজ করার লক্ষে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এই প্রকল্পে সরকার দেবে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।