National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

হাসপাতালে নূর-তানভীরকে দেখে ক্ষিপ্ত আহত শিক্ষার্থীরা:সন্ত্রাসী-ছাত্র হত্যাকারী বলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি

  ।।বিকে রিপোর্ট।।  শনিবার | নভেম্বর ৩০, ২০২৪ | ০৯:২২ পিএম

পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীরা।

মুহূর্তেই কয়েকজন শিক্ষার্থী গিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘ছাত্র হত্যাকারী’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।

শনিবার ৩০ নভেম্বর দুপুরে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান।

পরে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি জানান, দুপুরের দিকে আসাদুজ্জামান নূর এবং এইচ টি ইমামের ছেলে থেরাপি নেওয়ার জন্য গেলে সেখানে থেরাপি নিতে আসা কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী তাদের দেখে চিনে ফেলেন।

এ সময় তাদেরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীরা। মুহূর্তেই কয়েকজন শিক্ষার্থী গিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী-ছাত্র হত্যাকারী বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, হঠাৎ কয়েকজন শিক্ষার্থীর হই-হুল্লোড় শুনে গিয়ে দেখি একজনকে কিল-ঘুষি মারা হচ্ছে। তারা ছাত্র হত্যাকারী এবং শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করছিল। পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমানের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

একই সময়ে তারা দুজন ও আহত শিক্ষার্থীরা থেরাপি নিতে আসেন। একই সময় একই জায়গায় দেখা হয়ে যাওয়ায় একটা ইমোশনাল আউটবার্স্ট (বিস্ফোরণ) হয়েছে। পরে পুলিশ ও কর্তব্যরত চিকিৎসক-কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে হঠাৎ করেই ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা কাজ করছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।