বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠানটি স্থগিত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকানায় কর্মরত সাংবাদিক খালেদ মহীউদ্দীন।
বুধবার ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত আটটার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুকে লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শমতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হল।
একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ শীর্ষক সরাসরি টকশোতে খালেদ মুহিউদ্দীনের সঙ্গে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সাদ্দামের। এর আগে ফেসবুকে খালেদ মহিউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলা সংবাদমাধ্যম ‘ঠিকানা’ নিউজের ইউটিউবে চ্যানেলে ছাত্রলীগ সভাপতির সাক্ষাৎকার নেয়ার ঘোষণা দেন।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতিকে ‘প্রমোট’ করার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছেন খালেদ মহীউদ্দীন।
সারজিস আলম লিখেছেন, খালেদ মহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সাথে টকশো করেছেন? এটা আমাদের ২ হাজারের অধিক শহীদের সাথে বেইমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সাথে বেঈমানি।
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সাথে প্রতারণা করা হলো।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে খালেদ মুহিউদ্দীন টকশো করলে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করলেন কিনা, সে আত্ম-জিজ্ঞাসার কথা আমরা বলবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবসহ বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ ও সমালোচনার মধ্যে অনুষ্ঠানটি স্থগিতের ঘোষনা দিলেন খালেদ মহীউদ্দীন।