National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ : পঞ্চগড়ে ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা

  ।।বিকে রিপোর্ট।।   বুধবার | ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪ | ১০:০৩ এএম

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ও আশে পাশের জেলাগুলোতে গত ৬ দিন ধরে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।

বুধবার ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ সেলসিয়াস।

গতকাল মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় উত্তরের এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

উল্লেখ্য, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বুধবার ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র মানুষগুলো দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ভোর-সন্ধ্যায় গ্রামগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠে গেছে সূর্য। সকাল ৯টা পর্যন্ত রোদ ছড়ালেও অনুভূত হয় বরফের মতো কনকনে শীত। তবে বেলা বাড়তে থাকলে বাড়তে থাকে রোদের তেজ। সকাল ৯টার পর হারিয়ে যেতে থাকে কনকনে শীতের প্রভাব। দিনে তুলনামূলক গরম অনুভূত হয়েছে।

আবার প্রতিদিন দুপুরের পর হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। এ আবহাওয়ায় দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক ও রিকশা ভ্যান চালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দিনে দিনে বাড়ছে শজিজনিত রোগের প্রকোপ।

প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছে মহাবিপাকে। কাজে যেতে না পারায় দিনমজুররা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগে উপজেলার হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।