পূর্বাচলের একই লেক থেকে কলেজছাত্রী সুজানার পর এবার শাহিনুর রহমান কাব্যর (১৬) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বুধবার ১৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের বউরারটেক এলাকায় পূর্বাচল উপশহরের ২ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সেতুর নিচের লেকের পানি থেকে কাব্যর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও পুলিশের সহযোগিতায় সেতুর নিচ থেকে লেকের পানিতে মোটরসাইকেলের নিচে তার মরদেহ পায়।
নিহত কাব্য রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। এবং কাফরুল থানার কচুক্ষেত বউবাজার এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে। সে রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ছাড়া সুজানা ঢাকার ভাষানটেক সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও ঢাকার কচুক্ষেত এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার মেয়ে। সুজানা ও কাব্য পরস্পর বন্ধু বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে পূর্বাচল ২ নম্বর সেক্টরে ৪ নম্বর সেতুর নিচে লেক থেকে পুলিশ সুজানা নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই তরুণীর স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি সুজানার সঙ্গে কাব্য নামে আরেক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় পুলিশ লেকের পানির নিচ থেকে মোটরসাইকেল সহ কাব্যর লাশ উদ্ধার করে।
সুজানার পরিবারের বরাত দিয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, গত সোমবার বিকালে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন সুজানা। এরপর রাতে সে আর বাসায় ফেরেননি। তার মরদেহের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেল ও হেলমেট শনাক্ত করা হয়েছে। হেলমেটটি কাব্যের বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
তিনি আরও জানান, সুজানা ও কাব্য পরস্পর বন্ধু। তারা মিরপুরের বাসিন্দা। গতকাল সুজানার মরদেহ মিললেও কাব্য নিখোঁজ ছিল। আজ বুধবার সকালে একই লেকের অন্যপাশ থেকে কাব্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, গতকাল এক মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে এবং আজ সেখান থেকে এক ছেলের লাশ পাওয়া গেছে। তারা দুজন বন্ধু ছিল। তারা একটা মোটরসাইকেলে সেখানে ঘুরতে এসেছিল। আমাদের ধারণা, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে সেখানে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এটি সড়ক দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলের ওভার স্পিডের কারণে দুর্ঘটনায় তারা নিহত হয়েছেন। ওই লেক থেকে কাব্যের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি দুর্ঘটনা।