মুন্সিগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসসহ ১০টি যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে নিমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সব দুর্ঘটনায় ১০ গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পুলিশ দাবি করছে ১০টি যানবাহন নয় বরং ৪টি গাড়ি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসাড়া হাইওয়ে থানার এএসআই সগির মিয়া জানান, আজ ভোর ৬টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকার কিছু দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনগুলো ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ঘন কুয়াশার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, চারটি যানবাহনের মধ্যে ৩টি বাস ও একটি মাইক্রোবাস রয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সাকুরা পরিবহনের চালকের পা ভেঙে গেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রচণ্ড কুয়াশা ছিল। সামান্য দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছিল না। এক্সপ্রেসওয়ের ষোলঘর থেকে হাসাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে মাওয়ামুখী লেনে কয়েকটি যানবাহন একটিকে পেছন থেকে আরেকটি ধাক্কা দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। সড়কেও গাড়ির জটলা তৈরি হয়।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ বলেন, শ্রীনগরের ষোলঘর থেকে হাসাড়া এলাকার ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার জায়গা। এখানে ৪টি স্থানে সাকুরা পরিবহনসহ কয়েকটি বড় পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান ও কাভার্ডভ্যানসহ ১০টি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
কোথাও সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে। কোথাও একটি গাড়ি আরেকটির পেছনে ধাক্কা দিয়েছে। সবগুলো ঘটনাই ঘটেছে ঘন কুয়াশার কারণে। এ সব ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত মাওয়া টোল প্লাজা থেকে ষোলঘর পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ কিলোমিটারে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধারকাজ করছেন।
এর মধ্যে নিহত এক ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো. ফরহাদ হোসেন (৪০)। তিনি ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বাসের চালক ছিলেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে একজনের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তার নাম জাকির হোসেন (৩২)। তিনি নোয়াখালীর বাসিন্দা। তিনি বাসের চালকের সহকারী ছিলেন।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজিয়া মাহবুব বলেন, আহত অবস্থায় ফরহাদ হোসেন ও জাকির হোসেন নামে দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। জাকিরের রক্তক্ষরণ হলেও অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে তার আগেই ফরহাদ মারা যান। লাশ বর্তমানে হাসপাতালে আছে।