জীবন প্রবাহে কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয় আমাদের নিত্য। কখনো তা সূখের, কখনো দু:খের, কখনো বিচিত্র নতুনত্বে ভরা আইডিয়া যা বিস্মিত করে অনেককে।
তেমনি জীবন চিত্রের এক ভিন্ন ধারার খবর পাওয়া গেল সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্টের এক প্রতিবেদনে।
অনেক দেশেই চাকরি যেন সোনার হরিণ। তা পেতে কত না চেষ্টা-তদবির থাকে প্রার্থীরা। তবে কেউ সফল হন, আবার কাউকে হতে হয় হতাশ। এমনই হতাশার মধ্যে ব্যতিক্রমী এক পথ বেছে নিয়েছেন এক তরুণ। চাকরিদাতাদের নজরে পড়তে নিজের পোশাকেই জীবনবৃত্তান্ত ছাপিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন তিনি।
সাউথ চায়না মনিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ওই তরুণের নাম সং জিয়ালি, বয়স ২১ বছর। হুবেই প্রদেশের উহান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন। এবার স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা শুরুর পালা। এর আগে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টার্নশিপ করতে চাইছিলেন সং। তবে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেও সাড়া পাননি তিনি। এ নিয়ে একরকম হতাশ হয়ে পড়েছিলেন সং।
তবে কথায় আছে, সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। সংও বুদ্ধি করে একটি সমাধান বের করেছিলেন। এর আগে তিনি দেখেছেন, অনেকেই নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পোশাকে বিজ্ঞাপন ছেপে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। সং ভাবলেন, চাকরি পেতে তিনিও একই পথ ধরবেন। তবে পণ্যের বিজ্ঞাপনের বদলে পোশাকে ছাপবেন নিজের জীবনবৃত্তান্ত।
এরপরই জীবনবৃত্তান্ত ছাপা টি-শার্টে রাস্তায় দেখা যায় সংকে। টি-শার্টের সামনের অংশে লেখা ছিল, ‘২০২৪ সালের একজন শিক্ষার্থী চাকরি খুঁজছেন। বিস্তারিত জানতে পেছনে দেখুন।’ আর পেছনে ছাপা ছিল সংয়ের জীবনবৃত্তান্ত। তাতে ছিল তার নাম, ছবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, পড়াশোনার বিষয় এবং শিক্ষার্থী হিসেবে তার নানা কর্মকাণ্ডের হিসাব।
একটু চালাকি করে টি-শার্টে একটি কিউআর কোডও যুক্ত করেছিলেন সং। পাশে লেখা ছিল, ‘মানবসম্পদ বিভাগের যাদের আমার এই কৌশল ভালো লেগেছে, তারা এই কিউআর কোড স্ক্যান করে যোগাযোগ করতে পারেন।’
সং মজা করে এ-ও লিখেছেন, ‘জীবনসঙ্গী খোঁজার মতোই চাকরি খোঁজা কঠিন।’
তবে সংয়ের এই বুদ্ধি কিন্তু কাজে এসেছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। শেষ পর্যন্ত পোশাক খাত নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি।