জাকের আলী ও মমিনুলের রানের ওপর রান ভর করে শেষ পর্যন্ত ফলোঅন এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ।
এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা।
রবিবার ২৪ নভেম্বর আগের দিনের ৪০ নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুতে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে শাহাদাত হোসেন দিপু ফিরে গেলেও মুমিনুল হক ও লিটন দাস মিলে বাংলাদেশকে ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন।
মুমিনুল ২৩ বলে ৭ ও দিপু ৩১ বলে ১০ রানে নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নামেন। তবে এ দিন সুবিধা করতে পারেননি দিপু। দলীয় ৬৬ রানে ৭১ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি।
দিপুর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা লিটনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল।
৬২ রানের জুটি গড়েন লিটন ও মুমিনুল। তবে দলীয় ১২৮ রানে ১১৬ বলে ৫০ রান করে আউট হন মুমিনুল। তার বিদায়ের পর পরই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। ৭৬ বলে করেন ৪০ রান।
তবে দ্বিতীয় সেশনে ছন্দ হারান এই দুই ব্যাটার। ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়ে প্যাভিলিযনে ফিরে যান মুমিনুল হক। মুমিনুলের পর ৪০ রান করে ফিরে যান লিটন দাস। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল হক প্রতিরোধ গড়লেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই দুই ব্যাটার।
তাদের বিদায়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ফলোঅন এড়ায় লাল-সবুজের বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে।
এরপর জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলীয় ১৬৬ রানে ৬৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন জাকের আলি। ৬৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। ফিফটি তুলে নেন জাকের। তবে দলীয় ২৩৪ রানে ৬৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন তাইজুল। ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি জাকের। ফিরেছেন ৫৩ রান করে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। ১৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি।
হাসানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শরিফুল ইসলাম। তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম মিলে দিনের বাকি খেলা শেষ করেন। আলোকস্বল্পতা কারণে তৃতীয় দিনও আগেভাগে শেষ লড়াই। তাতে ৭৮ ওভার ব্যাট করে দিন শেষে বাংলাদেশ তুলেছে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান।
দিন শেষে উইকেটে ১১রানে ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও ৫ রানে অপরাজিত শরিফুল আহমেদ।
১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে সোমবার তৃতীয় দিনের লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ।