বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৭ রানে জয় পেয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা।
বুধবার ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় কিংসটাউনের আর্নোস ভেলে স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। টসে হেরে ব্যাট হাতে খুব একটা বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি টাইগাররা। ২০ ওভার শেষে ১২৯ রানের মান বাঁচানো এক সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল।
তবে বল হাতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে টাইগাররা। ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০২ রানেই থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর ফলে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এ জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা।
প্রথমে এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি। বাজে ফর্মে থাকা অধিনায়ক লিটন দাস মাত্র ৩ রান করে আকিল হোসেনের বলে আউট হন। তানজিদ হাসান তামিম ব্যক্তিগত ২ রানে রোস্টন চেজের বলে বোল্ড হন। আর আগের ম্যাচে ভালো করা সৌম্য সরকার ১১ রানে রান আউট হন।
এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী। তবে মিরাজ ২৫ বলে ২৬ ও জাকের ২০ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন। তবে শেষ দিকে শামীম হোসেনের ঝড়ো ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ কিছুটা উন্নতি হয় বাংলাদেশের। এই ব্যাটার ১৭ বলে ২টি চার ও সমান ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৫ রানে দুটি উইকেট নেন গুড়াকেশ মোতি। এ ছাড়া আকিল হোসেন, রোস্টন চেজ, আলজারি জোসেফ ও ওডেব ম্যাককয় একটি করে নেন।
জবাবে ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও জনসন চার্লস। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তাদের ঝড় থামান তাসকিন। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই কিংকে ফেরান এই পেসার। তাসকিনের দারুণ এক লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার (৮)।
ওভারের শেষ বলে ফ্লেচারকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তাসকিন। ৪ বলে শূন্য রানে লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হজমের পর তিন বল ব্যবধানে চার্লসকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী। অ্যাক্রোস দ্য লাইনে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ১৪ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার। রিভিভ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি।
এরপর ব্যাট হাতে নেমে মেহেদীর বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছিলেন না নিকোলাস পুরান। টানা ৪ ডটের পর পঞ্চম বলে অ্যাক্রোস দ্য লাইনে খেলতে চেয়েছিলেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। তবে এজ হয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫ রান করা পুরান।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে ‘জীবন’ পাওয়া রোভম্যান পাওয়েলকে ফেরান হাসান মাহমুদ। তরুণ এই পেসারের মিডল ও লেগ স্টাম্পের হার্ড লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ড্রাইভ দিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন মিরাজ। ৭ বলে ৬ রানে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক।
এরপর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৩২ রান করা চেজ রিশাদ হোসেনের বলে আউট হন। আর শেষের ব্যাটার আকিল হোসেন ৩১ করে তাসকিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। মাঝে দুর্দান্ত বল করা তানজিম হাসান সাকিব রোমারিও শেফার্ড ও আলজারি জোসেফকে আউট করেন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে ৩.৩ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৩টি উইকেট পান। এছাড়া দুটি করে উইকেট দখল করেন মেহেদী হাসান, সাকিব ও রিশাদ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শামীম হোসেন।