National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: প্রতীকি অর্থে

সেহরিতে থাকুন সচেতন

  ।।বিকে ডেস্ক।।  সোমবার | মার্চ ১৮, ২০২৪ | ০৯:০৭ পিএম

উপস্থাপনা ও সম্পাদনা: তাইয়্যেবা মারজান

পবিত্র রমজান মাস চলছে। রমজানের ইফতারের মতোই সেহরিও একটা গুরুত্বপূর্ন অংশ। সেহরির পর সারাদিন আর কিছু খাবার সুযোগ থাকে না। অথচ ছাত্র-ছাত্র এবং কর্মজীবিদের কাজের প্রয়োজনে সারাদিন ব্যোস্ত থাকতে হয়। তাই সেহরিতে চাই স্বাস্থ্যকর আয়োজন। যা শুধু পেট ভরাবে না বরং আপনাকে দেবে সারাদিনের সুস্থতার নিশ্চয়তা।

এখন চৈত্র শুরু হয়ে গেছে। প্রকৃতিতে গরম পড়তে শুরু করেছে। আর গরম মানেই পানিশূণ্যতা। তাই ইফতারের পর প্রচুর পানি পান করুন। এবং সেহরিতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে রোজার সময় শরীরে সারাদিন পানির চাহিদা পূরণ করতে অন্তত ২ লিটার বা ৬০ আউন্স পানি পান করতে হবে। সেহরিতে অবশ্যই কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করতে হবে। একসঙ্গে বেশি পানি পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

তবে ভুলেও সেহরিতে কোমল পানীয় অর্থাৎ কোল্ড ড্রিংকস খাবেন না। এতে দিনের বেলায় আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যাবে। ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তখন আপনার রোজা রাখতে বেশ কষ্ট হবে।

স্বাস্থ্যকর ও হালকা খাবার খান। সেহরিতে অবশ্যই হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। সব্জিজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। যদি মনে করে থাকেন, বেশি করে খাবার খেলে সারাদিন ক্ষুধা লাগবে না, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। এমন খাবার খান যাতে অনেক বেশি ফাইবার আছে। ফাইবারসম্মৃদ্ধ খাবার আপনাকে সারাদিন শক্তি যোগাবে।

শুধু ইফতারেই নয় সেহরিতে খেজুর খেতে পারেন। খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে খেজুর খেলে তা আপনারশরীরকে সুস্থ্য রাখতে রোজার সময় খেজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কপার, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এছাড়া এতে অনেক বেশি গ্লুকোজ থাকে যা শরীরে সারাদিন শক্তি যোগায়।

রোজায় সবচে সমস্যা হয় ঘুমের। সন্ধ্যা রাতের পর আবার ভোররাতে উঠে সেহরি খেতে হয়। তারপর যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়না আবার ঘুমানোর। তাই ঘুমের রুটিন ঠিক করে নিন। কারণ শারীরিক সুস্থ্যতার অনেকটাই নির্ভর করে পর্যাপ্ত ঘুমের ওপর। রোজার সময়েও শরীরকে সুস্থ্য রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠে যেতে হবে। প্রয়োজনে সন্ধ্যারাতে ঘুমের শিডিউল এগিয়ে নিন। যাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন। আর সেহরি শেষে ফজরের নামাজের পর একটু ঘুম অবশ্যই আপনাকে সতেজ করবে।

সেহরির পর দই খাওয়া খুবই উপকারি। এটি এসিডিটি, এমনকি পানিশূণ্যতা রোধেও অনেক ভালো কাজ করে।

আপেল ও কলা খেতে পারেন।  সঠিক পুষ্টি পেতে প্রতিদিনের খাবারে আপেল ও কলা রাখা খুব জরুরি। দুটি ফলই কম ক্যালরিসম্পন্ন। এগুলোতে অনেক বেশি ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

সেহরিতে লবন, ঝাল ও চিনিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। বেশি ঝাল, চিনি ও লবনজাতীয় খাবার আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলবে। লবন, মরিচ ও চিনি’র সোডিয়াম শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে বেশি ঝাল, চিনি ও লবনজাতীয় খাবার খেলে শরীরের কোষ থেকে পানি বের হয়ে যায়। যার ফলে আপনি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন।

পানিজাতীয় ফল খান। অনেক বেশি পানি আছে এমন ফল, যেমন শসা-টমেটোর সালাদ, রসালো ফল যেমন তরমুজ, কমলা ইত্যাদি খাবার সেহরিতে যোগ করতে পারেন। এসব খাবার সারাদিন আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করবে।

সেহরি খাবার পর চা বা কফি পান করবেন না। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত।