National Online News Portal of Bangladesh - বাংলাদেশের জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল - بوابة الأخبار الوطنية على الإنترنت لبنغلاديش - बांग्लादेश का राष्ट्रीय ऑनलाइन समाचार पोर्टल - بنگلہ دیش کا قومی آن لائن نیوز پورٹل
ছবি: সংগৃহিত

শূন্যরেখায় শহীদ মিনারে দুই বাংলার মানুষের শ্রদ্ধা

  ।।বিকে রিপোর্ট।।   বুধবার | ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪ | ০৭:০০ পিএম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দুই দেশের বাংলাভাষীরা। দুই দেশের শত শত মানুষ অংশ নেন। একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময় করেন।

বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী ও রাজনীতিবিদদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোলের শূন্যরেখা। সকাল ১১টায় ভারতের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ বনগাঁও অঞ্চলের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ও বাংলাদেশের পক্ষে যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

দিবসটিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা আরোপ করা হয় দুই সীমান্তে। বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্টে বিজিবি ও বিএসএফের বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

ছবি: ষংগৃহিত

বেনাপোলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপন পরিষদ এবং পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ পৌরসভা ২০০২ সাল থেকে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানটি করে আসছে। এবারই প্রথম বাংলাদেশ অংশে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি, তবে ভারতের পেট্রাপোলে আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে মঞ্চ বানিয়ে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান করা হয়।

যশোর-১ শার্শা আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল বলেন, বাঙালির অর্জনকে দুই বাংলা একসঙ্গে পালন করছে। এটা খুবই গর্বের। দুই দেশের সোহার্দ্য-সম্প্রীতি ও মৈত্রীতে এ অনুষ্ঠান অনুপ্রেরণা যোগাবে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর আর কোনো দেশ রক্ত দেয়নি নিজের ভাষার জন্য। এ দেশের দামাল ছেলেরা রক্ত দিয়ে সারাবিশ্বে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি এনে দেয়। বাংলাদেশকে বিভক্ত করা হলেও ভাষাকে বিভক্ত করা যায়নি।

বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ভাষার টানে, বাঙালি জাতির নাড়ির টানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে এখানে এসেছি। একুশের গৌরবের উত্তরাধিকারী পৃথিবীর সব বাঙালি। এর ব্যাপ্তি শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, অনেক বিস্তৃত।